Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভৈরব সেতু: প্রতি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরে ব্যয় হবে ৩ লাখ টাকা!

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০২১, ১১:৩৪ পিএম

খুলনায় ভৈরব সেতুর পিলার স্থাপনের জন্য ৩৩ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরের প্রয়োজন হবে। এজন্য ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানী লিঃ এক কোটি টাকা চেয়েছে সওজের কাছে। অর্থাৎ প্রতিটি খুঁটি সরাতে খরচ ধরা হয়েছে ৩ লাখ টাকা। এ খবর জানাজানি হওয়ার পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে ব্যয়ের হিসাব নিয়ে।

ভৈরব নদীর পূর্ব পাশ দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাট খেয়াঘাট থেকে উপজেলা সদর পর্যন্ত সেতুর ১৬ থেকে ২৮ নং পর্যন্ত মোট পিলার বসবে ১৩ টি। এই ১৩ টি পিলার স্থাপনের জন্য ঐ এলাকার ৩৩ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তর করতে হবে। এজন্য ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানি লিঃ (ওজোপাডিকো) থেকে ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি টাকা।

সওজের একটি সূত্র জানায়, সেতু বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) থেকে গত অর্থবছরে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরের জন্য ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানী লিঃ কে ৫০ লক্ষ টাকা চেকের মাধ্যমে দেওয়া হয়। কিন্তু ৩৩ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরের জন্য ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানী লিঃ ব্যয় নির্ধারণ করেছে এক কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিটা বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরের জন্য খরচ হবে ৩ লক্ষ টাকার উপরে। মোট ব্যয়ের সম্পূর্ণ অর্থ এক কোটি টাকা বুঝে না পাওয়ায় সওজ থেকে একাধিকবার তাগাদা দেওয়া সত্বেও ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড এর নির্বাহী প্রকৌশলী বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরের টেন্ডার আহবানে গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে। যেকারণে খুলনাবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ সেতুর পিলার স্থাপনের কাজে বিলম্ব হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানী লিঃ এর নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ ঘোষ বলেন, আমরা কোন অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ধরিনি। সিডিউলের রেট অনুযায়ী ৩৩ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরের জন্য এক কোটি টাকা ব্যয় ধরেছি। গত অর্থ বছরে সওজের বাজেট কম থাকার কারণে তারা ৫০ লক্ষ টাকা পার্টলি বরাদ্দ দিয়েছে। আমরা আমাদের অফিশিয়াল নিয়মানুযায়ী এগোচ্ছি।

ভৈরব সেতু বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, ভৈরব নদীর পূর্ব পাশে নগরঘাট খেয়াঘাট থেকে উপজেলা সদর পর্যন্ত ৩৩ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি দ্রুত স্থানান্তর করা জরুরী প্রয়োজন। এ লক্ষে আমাদের অফিস থেকে গত জুন মাসে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানী লিঃ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর চিঠি দিয়েছি। প্রথমাবস্থায় নির্বাহী প্রকৌশলী ৩৩ টি খুঁটি স্থানান্তরের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে বলে আমাদের জানিয়েছিলেন। আমরা সেই মোতাবেক গত ২৮ জুন চেকের মাধ্যমে উনার (নির্বাহী প্রকৌশলী) বরাবর ৫০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করি। টাকা দেওয়ার ২ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও খুঁটিগুলো স্থানান্তরের জন্য উনি এখনও পর্যন্ত টেন্ডার আহবান করেননি। খুঁটিগুলো দ্রুত স্থানান্তর করা না হলে আমাদের পাইলিং এর কাজ পিছিয়ে পড়বে। এখন তারা বলছে খুঁটিগুলো স্থানান্তরে ব্যয় হবে এক কোটি টাকা। খুঁটিগুলো স্থানান্তরের মোট ব্যয়ের এক কোটি টাকা না পেলে টেন্ডার আহবান করা সম্ভব হবে না। পরবর্তী বাজেটে অর্থ বরাদ্দ পেলে আমরা বাকী টাকা দিতে রাজি হয়েছি। তারপরও উনি টেন্ডার আহবানে সময়ক্ষেপণ করছে ।



 

Show all comments
  • Rownakul ২৫ আগস্ট, ২০২১, ৪:৩৪ এএম says : 0
    এই টাকার খরচ কিভাবে করা হবে এবং পূর্বে ঐ খুটি গুলি স্থাপন করার খরচের বিবরন এবং তাদের করা সকল খরচের বিষয়ে পুংখানু পুংখ হিসাব নেয়া প্রয়োজন। যদি সত্যি কার হিসাব নেয়া সম্ভব হয় তাহলেই দুরর্নীতির শেকড় উপড়ানো সম্ভব।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ