মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান আবারো কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আগের খবরে যদিও বলা হয়েছিল যে কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিধানের বিষয়ে তুরস্ক তার পরিকল্পনা পরিত্যাগ করেছে, কিন্তু শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানন বলেন যে আফগানিস্তানে তুরস্ক কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে কিনা এবং পারলে কী ভূমিকা পালন করতে পারে সে সম্পর্কে তুরস্ক তালেবানের সাথে আলোচনা করতে প্রস্তুত আছে। শুক্রবার এরদোগান বলেন, আমাদের দরজায় কড়া নাড়লে, আমরা সংলাপের জন্য দরজা খুলে দেব।
তিনি আরো বলেন, আফগানিস্তানের অবকাঠামো নির্মাণের প্রচেষ্টার সাথে তুরস্ক সম্পৃক্ত এবং এ ধরণের কাজ করার বিষয়ে তুরস্ক এখনও আগ্রহী।
এর আগে বুধবার টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে এরদোগান বলেন কাবুল বিমানবন্দরে নিরাপত্তা প্রদানে তুরস্ক এখনো আগ্রহী। যদিও সোমবার রয়টারের সংবাদে বলা হয়েছিল তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর বিমান বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা বাদ দেয়া হয়েছে।
এই সাক্ষাত্কারে এরদোগান বলেন, আফগানিস্তানে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নতুন প্রশাসনের হাতকে শক্তিশালী করবে। তিনি আরো বলেন, আফগানিস্তানের সকল পক্ষের সাথেই তুরস্ক যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।
ন্যাটো সদস্য হিসেবে তুরস্কের ৬০০ সৈন্য রয়েছে আফগানিস্তানে এবং তুরস্ক কর্তৃপক্ষ তাদের উপস্থিতিকে যোদ্ধা বাহিনী হিসেবে দেখছে না।
তবে জুলাই মাসে, তালেবান বিমান বন্দরে আমরিক উপস্থিতি সম্পর্কে তুরস্ককে হুঁশিয়ার করে দেয় এবং এই প্রস্তাবকে তাদের কথায়, আমাদের সার্বভৌমত্ব, ও আঞ্চলিক অখন্ডতা লঙ্ঘন এবং আমাদের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী বলে অভিহিত করে।
এরদোগান বুধবার বলেন, তালেবান যোদ্ধারা সে দেশের নিযন্ত্রণ আবার গ্রহণ করার পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার নতুন চিত্র দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, এখন আমরা সেই ক্ষেত্রে নতুন বাস্তবতা অনুযায়ী আমাদের পরিকল্পনা করছি এবং সেই অনুযায়ী আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।
কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, তালেবান অনুরোধ করলে তুরস্ক বিমানবন্দর পাহারা দেবে। তবে তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানে এ রকম সামরিক উপস্থিতিতে ন্যাটো এবং আফগানিস্তান সহায়তা দেবে না।
তবে রিপালিকান পিপলস পার্টিসহ তুরস্কের বিরোধীদলগুলো আফগানিস্তান থেকে তুরস্কের সৈন্যদের সরিয়ে আনার জন্য সরকারকে বলেছে। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।