পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দক্ষিণ কোরিয়াগামী আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীরা চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছেন। করোনার মহামারির কারণে দেশটি ফিরতে না পেরে পরিবারের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব কর্মী। এসব কর্মীরাই বিদেশে কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছে। দ্রæত দেশটিতে ফিরতে না পারলে নিয়োগকারী কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। কোরিয়াগামী একাধিক প্রবাসী কর্মী এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। দেশটির কর্মস্থলে ফিরে যেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো সাড়া মিলছে না। তারা স্ব স্ব কর্মস্থলে ফিরে যেতে বাংলাদেশ সরকার ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়া নিজ কর্মস্থলে ফিরতে পারছে না শত শত প্রবাসী কর্মী। করোনা মহামারি সংক্রমণের দরুণ ছুটিতে এসে আটকে পড়া কর্মীরা দেশটিতে যেতে না পেরে চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। ৮০০ জন কমিটেড রি-এন্ট্রি কর্মী এবং ইমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) পদ্ধতির নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত ১১ শতাধিক কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় গমনে অনিশ্চয়তার মুখে। আটকে পড়া কোরিয়াগামী এসব কর্মী দ্রæত দেশটির কর্মস্থলে যোগদানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগি কোরিয়াগামী কর্মী এ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে বাংলাদেশের ক‚টনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। ২০০৮ সালে ইমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) এর মাধ্যমে জি-টু-জি প্রক্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে বিনা অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী নিয়োগ শুরু করে। দেশটির ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পে বাংলাদেশি কর্মীরা অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ১ জন বৈধ (কমিটেড রি-এন্ট্রি) কর্মী একই কোম্পানিতে প্রথম মেয়াদ (৪ বছর ১০ মাস) শেষ করে ৩ মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি কাটাতে দেশে আসতে হয়। ৯০ দিন শেষ হলে পরের ২-৩ দিনের মধ্যে আবার কোরিয়া গমনের সুযোগ হয়।
বিগত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যে সমস্ত কমিটেড কর্মীরা ৯০ দিনের আবশ্যক ছুটি কাটাতে দেশে এসেছিল তারা পুনরায় কোরিয়ার স্ব স্ব কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারেনি। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে করোনা মহামারিতে সৃষ্ট ভিসা নিষেধাজ্ঞার কবলে পরে এসব কোরিয়াগামী কর্মীরা চরম অনিশ্চয়তার মাঝে দিন কাটাচ্ছে।
দেশের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলে ২০২১ সালের শুরুতে কোরিয়ান সরকার ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। কিন্তু তখন ইপিএস এর কমিটেড কর্মীদের না পাঠিয়ে ছাত্র, ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়। ছাত্র, ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামাফিক করোনা টেস্ট না করে জাল নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে কোরিয়া প্রবেশ করে। কিন্তু কোরিয়া গিয়ে তাদের অনেকের করোনা পজিটিভ প্রমাণিত হয়। এভাবে একাধিক ফ্লাইটে জাল সার্টিফিকেট নিয়ে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশ আবারও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে। যার ফলে কমিটেড রি-এন্ট্রি আটকে পড়া কর্মীদের কোরিয়া গমন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশ থেকে কর্মী গমনে দীর্ঘ বিলম্বের কারণে কোম্পানির মালিকপক্ষ অন্য দেশ থেকে কর্মী সংগ্রহ শুরু করেছে। অথচ এই কমিটেড কর্মীরাই তাদের ত্যাগ ও শ্রম দিয়ে কোরিয়ান আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে, কোম্পানি পরিবর্তন না করে কোরিয়াতে বাংলাদেশের শ্রম বাজার সমুন্নত রেখেছিল। কিন্তু আজকে এই ত্যাগী কর্মীরাই এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এর মুখোমুখি। কোরিয়াগামী প্রবাসী কর্মীরা দেশটিতে ফিরে যাওয়ার দাবিতে দু’এক দিনের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি পেশ করবে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।