আফগানিস্তানে অবস্থানরত মার্কিন সেনা সদস্যদের ওপর হামলা হলে বা দেশটি থেকে মার্কিন নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজে কোনো প্রকার নাশকতামূলক কাজ করা হলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক ভাষণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি সবসময় বলেছি, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র-অংশীদাররা বর্তমানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে কম গুরুত্ব দিচ্ছে এবং তার পরিবর্তে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতাপ্রবণ এলাকাসমূহে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিধানকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি ও এই প্রক্রিয়ারই অংশ।’
‘আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, প্রায় ৬ হাজার সেনা সদস্য এই কাজে নিয়োজিত আছেন। আমি পরিষ্কারভাবে বলছি, যদি আমাদের সেনা সদস্যদের ওপর কোনো হামলা হয়, বা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় কোনো প্রকার অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে, সেক্ষেত্রে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে এবং অত্যন্ত দ্রুত ও শক্তভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে যুক্তরাষ্ট্র।’
২০০১ সালে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার টুইন টাওয়ারে হামলা করেছিল আল কায়দা নেটওয়ার্ক। সে সময় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এই জঙ্গি সংগঠনটির প্রধান ঘাঁটি ছিল তৎকালীন তালেবানশাসিত আফগানিস্তান।
টুইন টওয়ারে হামলার পর ওই বছরই দেশটিতে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো সেনা বাহিনী। অভিযানে পতন হয় তালেবান সরকারের।
অভিযানের ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ সমাপ্তি ও আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
কিন্তু ভবিষ্যতে যেন ফের আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্র দেশসমূহের ওপর যেন কোনো প্রকার হামলা পরিচালনা করা না হয় সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে শুক্রবারের ভাষণে উল্লেখ করেছেন বাইডেন।
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই একমত হয়েছি যে এ ব্যাপারে আমাদের আলোচনায় বসা প্রয়োজন। সামনের সপ্তাহে জি ৭ বৈঠকে এ ব্যাপারে আলোচনা হবে। জি ৭ এর সদস্যরাষ্ট্রসহ বিশ্বের নেতৃস্থানীয় গণতান্ত্রিক দেশসমূহ যদি সক্রিয় হয়, অদূর ভবিষ্যতে আফগানিস্তানে একটি গণতান্ত্রিক সরকার আমরা দেখতে পাব- এমন আশা আমরা করতেই পারি।’
সূত্র: বিবিসি