Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেয়াদ শেষে গুয়ানতানামো কারাগার বন্ধ করতে চান বাইডেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৪:৩৯ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করতে চান। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এই কারাগার বন্ধ করতে চান বলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন পাসাকি জানিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনও একই সুরে কথা বলেছিল। কিন্তু ওবামা প্রশাসন সে সময়ে এ লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেনের আমলে এই কারাগার বন্ধের সম্ভাব্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জেন পাসাকি বলেন, নিশ্চিতভাবে এটিই আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে প্রশাসন এ লক্ষ্যে কাজ করছে বলেও জানান তিনি। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে তার নির্বাচনী প্রচারণাকালে গুয়ানতানামো কারাগার রেখে দেওয়ার ইচ্ছে ব্যক্ত করেন। আর ওবামা তার শাসনামলে চেষ্টা করেও কংগ্রেসের কারণে গুয়ানতানামো বন্ধ করার কাজে সফল হতে পারেননি।
উল্লেখ্য, ৯/১১ হামলার পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সময় মার্কিন সেনাবাহিনী কিউবার পূর্বাঞ্চলে গুয়ানতানামো বে কারাগারে প্রতিষ্ঠা করে। এই কারাগারে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের সঙ্গে জড়িতদের বন্দী রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার স্বঘোষিত মূল হোতা খালেদ শেখ মোহাম্মদও রয়েছেন। এখানে এখনো ৪০ জন বন্দী রয়েছে।
গুয়ানতানামো কারাগার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি কারাগার যা বন্দীদের ওপর অমানুষিক নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত। এই কারাগারে বন্দীদের বিনাবিচারে আটক রাখা হয় এবং তথ্য আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে বন্দীদের ওপর যৌন অত্যাচার, 'ওয়াটার বোর্ডিং'-সহ বিবিধ আইনবহির্ভূত উপায়ে নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের প্রকার ও মাত্রা এতই বেশি যে এই কারাগারকে ‘মর্ত্যের নরক’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ সত্ত্বেও এই কারাগারটিকে অব্যাহতভাবে নির্যাতনের জন্য ব্যবহার করতে থাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে একে মার্কিনীদের ‘লজ্জা’ হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে।
এই কারাগারটি ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূ-খণ্ডের বাইরে কিউবার দক্ষিণ-পূর্ব পাশে ক্যারিবীয় সাগরে এর অবস্থান। এই কারাগারে মার্কিন-বিরোধী তৎপরতায় সংশ্লিষ্ট জঙ্গী, সন্ত্রাসী ও গুপ্তচর সন্দেহে বিভিন্ন দেশের নাগরিককে আটক রাখা হয়। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই বন্দীশালায় বিনা বিচারে আট বৎসর আটক থাকার পর ১৯৮ জনের মধ্যে ১৩০ জনেরও বেশি বন্দী নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। এ পর্যন্ত মাত্র ৬ জন বন্দীকে বিচারের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ