প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বুধবার (১৮ আগস্ট) হঠাৎ করেই অ্যাক্টিভ হয়ে উঠল প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ফেসবুক প্রোফাইল। আর শুধু অ্যাক্টিভেটই নয়। প্রোফাইল থেকে দুম করে পোস্টও হয়ে গেল সুশান্তের এক অদেখা ছবি। ব্যাপারটা কি ঘটছে তা বোঝার আগেই হই হই করে প্রোফাইলে ঝাঁপিয়ে পড়লেন সুশান্ত সিং রাজপুতের ভক্তরা। ঝড়ের বেগে আসতে শুরু করল ছবির নিচে মন্তব্য। সেকেন্ডের মধ্যে সেই ছবি শেয়ার হয়ে ছড়িয়ে পড়ল নেটদুনিয়ায়।
জানা গিয়েছে, সুশান্ত সিং রাজপুত নিজে হাতে খুব একটা ফেসবুক করতেন না। বরং তার ফেসবুক দেখার জন্য রাখা হয়েছিল বিশেষ একদল ব্যক্তিকে। তারাই মূলত সুশান্তের সোশ্যাল মিডিয়ার দেখভাল করত। খবর অনুযায়ী, সুশান্তের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি যারা দেখভাল করছেন তারাই এই ছবিটি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই ঘটনায় প্রথমে নেটিজেনরা অবাক হলেও পরে অবশ্য সুশান্তের নস্টালজিয়ায় বুঁদ হয়েছিলেন তারা। আর তাই তো ছবির নিচের মন্তব্যে ভালবাসা ভরিয়ে দিলেন সুশান্ত ভক্তরা। জনৈক নেটিজেন তো লিখেই ফেললেন, ‘যদি এটা সত্যি হত, তাহলে সত্যিই খুব ভাল হত। তোমাকে অনেক তাড়াতাড়ি হারিয়ে ফেলেছি। যেটা কখনই চাইনি। তুমি ফিরে আসলে সবচেয়ে খুশি আমিই হতাম। তুমি যেখানেই থাক ভাল থেকো।’ আবার কয়েকজন ব্যঙ্গ বিদ্রূপ শুরু করেছেন। একজন আবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে সুশান্তের তুলনা করে তীব্র কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘সুভাষচন্দ্র বসু যেমন গা ঢাকা দিয়েছিলেন কিন্তু সকলে ভাবত তিনি মারা গিয়েছেন, তেমনি আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অভিনেতা, বৈজ্ঞানিক, প্রেমিক, শিব ভক্ত গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন।’
ইতিমধ্যেই ছবিটিতে ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষ 'রিঅ্যাক্ট' করেছেন। আর কমেন্ট করেছে প্রায় ৫ হাজার জন। তার ফলোয়ারদের দাবি এই পোস্ট যেন কোনওভাবেই ডিলিট করে না দেওয়া হয়। তবে এই প্রথমবার নয়, সুশান্তের মৃত্যুর পর বেশ কিছু পোস্ট এই প্রোফাইল থেকে করা হয়।
২০২০ সালে ১৪ই জুন বান্দ্রার আবাসন থেকে উদ্ধার হয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ। তার মৃত্যুর একবছর কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি অভিনেতার মৃত্যুর কারণ। সিবিআই এখনো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে। তবে আত্মহত্যা বা খুন কোনো সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছে না সিবিআই। তবে গত বছরের শেষ পর্যন্তও নেটিজেনদের মধ্যে যে উন্মাদনা ছিল সুশান্তের মৃত্যু রহস্য নিয়ে তার কানাকড়িও বেঁচে নেই এখন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।