গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের প্রতিষ্ঠাতা কাজী আরেফ হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত রওশন ওরফে আলী ওরফে উদয় মল্লিককে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে রাজশাহী থেকে আটক করা হয়।র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান জানান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী এক জনসভা চলছিল। এ সময় একদল সন্ত্রাসী গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই নিহত হন কাজী আরেফ আহমেদ, তৎকালীন জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরায়েল হোসেন ও শমসের মণ্ডল। ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
২০০৪ সালে কুষ্টিয়ার জেলা জজ আদালত ১০ জনকে ফাঁসি ও ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন।
তবে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হলে ২০০৮ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট নয়জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন, একজনকে খালাস দেন ও ১২ জনের সাজা মওকুফ করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে ২০১১ সালের ৭ আগস্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেই আদেশ দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের রিভিউ আবেদনও খারিজ করে দেয়া হয়। পরে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইলেও তা নাকচ করে দেয়া হয়।
২০১৬ সালে ৮ জানুয়ারি তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় যশোর সেন্ট্রাল জেলে
। তাঁরা হলেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের রাজনগর গ্রামের হাবিবুর রহমান, কুর্শা গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নয়জনের মধ্যে বর্তমানে চারজন পলাতক। একজন কারাগারে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। আরেকজন গতকাল ধরা পরলেন।
ক্যাপশন- কাজী আরেফ আহমেদ ও মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামী রওশন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।