নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ২৪ আগস্ট বাংলাদেশ সফরে আসার কথা নিউজিল্যান্ড দলের। তারপরই কিউইদের পাকিস্তান সফর করার কথা। সেখানে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে সরাসরি বিশ্বকাপে যাবে নিউজিল্যান্ড দল, এমনই পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের পাশের দেশ আফগানিস্তানে যা ঘটছে, এরপর পাকিস্তান সফরের জন্য ঘোষিত নিউজিল্যান্ড দলের কয়েকজন ক্রিকেটারের মনে ঢুকেছে তালেবান-ভীতি। তাই বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার পর পাকিস্তান যেতে তাদের অনীহা।
নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমের খবর, পাকিস্তানের পরিস্থিতি পরিদর্শনের জন্য নিউজিল্যান্ডের স্বাধীন নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক রেগ ডিকেসন আগামী সপ্তাহে পাকিস্তান সফর করবেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান হিথ মিলস এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘সব ঠিকঠাক এগোচ্ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনে আফগানিস্তানে যা হয়েছে, তা দুঃখজনক। আর অনেকেই এ ব্যাপারে প্রশ্ন করছেন। (আফগানিস্তানের পরিস্থিতির নিরিখে পাকিস্তানের) নিরাপত্তাব্যবস্থা কেমন থাকবে, সেটা জানতে চাইছেন। ক্রিকেটাররাও আছেন এই দলে। সেটা একেবারে স্বাভাবিকও। আমাদের কাজ হলো যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা, নিরাপত্তাব্যবস্থা ঠিক থাকলে ক্রিকেটারদের আশ্বস্ত করা।’
ডিকেসন এর আগেও নিউজিল্যান্ড দলের সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০০২ সালে করাচিতে বোমা হামলার কারণে নিউজিল্যান্ড দল পাকিস্তান সফরের মাঝপথে ফিরে আসে। পরের বছর অবশ্য আবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে অসম্প‚র্ণ সিরিজ খেলে আসে কিউইরা। সেটিই ছিল পাকিস্তানে নিউজিল্যান্ডের সর্বশেষ সফর। সে সময়েও ডিকেসন নিউজিল্যান্ড দলের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
১৮ বছর পর আবার নিউজিল্যান্ড দলের পাকিস্তান সফরের কথা হচ্ছে। তবে সিরিজটি নিশ্চিত হবে তখনই, যখন ডিকেসনের নিরাপত্তা প্রতিবেদনে ইতিবাচক খবর থাকবে। হিথ মিলস এ ব্যাপারে বলছিলেন, ‘ডিকেসনের প্রতিবেদন পেতে চার-পাঁচ দিন সময় লাগবে। সফরে আমাদের যাওয়া উচিত কি না, এ ব্যাপারে তার একটা মন্তব্য থাকবে। তখন আমরা সেভাবে পরিকল্পনা করব। যদি সফর হয়, তাহলে ডিকেসন দলের সঙ্গেই থাকবেন। যদি তিনি কোনো অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে দল পাকিস্তান থেকে সরাসরি ফিরে আসবে।’
পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশেও প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে নিউজিল্যান্ড। গতপরশু বাংলাদেশে এসেছেন তিন সদস্যের দলটি। নিউজিল্যান্ড দলের ব্যবস্থাপক, কোভিড ব্যবস্থাপক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক আছেন প্রতিনিধিদলে। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার রিচার্ড বুক বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিনিধিদল এখন বাংলাদেশে আছে। প্রতিবার যেমন হয়, এবারও সেভাবেই আমরা আমাদের প্রতিনিধিদের প্রতিবেদনে লেখা পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করব।’
এরই মধ্যে গতকালই গত ৬ মাসর পর প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষনা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার। তবে বাংরাদেশ সফর যথাসময়েই হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন এনজেডসির পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার রিচার্ড বুক, ‘এখনও আমাদের কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, কিন্তু আমরা আশাবাদী সিরিজটি সূচি অনুযায়ীই হবে এবং খেলোয়াড়েরা যথাসময়েই ঢাকা পৌঁছাবে। আমাদের ছেলেদের এরই মধ্যে সকলেরই ভ্যাকসিন নেয়া হয়ে গেছে, তারপরও সতর্কতা হিসেবে আমরা প্রতিটি দেশের কোভিড প্রোটোকল মেনেই চলবো।’
ওদিকে মূল দলের সঙ্গে বাংলাদেশে আসছেন না নিউজিল্যান্ডের দুই ক্রিকেটার। ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টে খেলা সেই দুই ক্রিকেটার ফিন অ্যালেন ও কলিন দ্য গ্রান্ডহোম ২০ আগস্টেই বাংলাদেশে আসবেন। কিউই দলের বাকি ক্রিকেটাররা আসবেন পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী ২৪ আগস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।