পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আদালতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অনেক মামলা জমে আছে। বছরের পর বছর ধরে এসব মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় হচ্ছে না। মন্ত্রণালয় থেকে মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া সত্বেও অর্জন করতে পারছে না। এ অবস্থায় চলতি অর্থবছরে ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে মামলা নিষ্পত্তির নতুন লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট চার হাজার ১৮৭টি মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেওয়া হয়েছে। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৭০৮টি বেশি। ব্যাংক ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে সোনালী ব্যাংককে তিন ক্যাটাগরির মোট এক হাজার ৩৯০টি মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। এর মধ্যে রিট ৪০টি, অর্থ ঋণ মামলা ৩৫০টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য এক হাজার মামলা রয়েছে। একইভাবে জনতা ব্যাংককে মোট এক হাজার ৮০টি মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। এর মধ্যে রিট ৮০টি, অর্থ ঋণ মামলা ১৫০টি এং বিভাগীয় ও অন্যান্য ৮৫০টি মামলা রয়েছে। অগ্রণী ব্যাংককে মোট এক হাজার ১০টি মামলা নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। এরমধ্যে রিট ৬০টি, অর্থ ঋণ ২৫০টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য ৭০০টি মামলা রয়েছে। রূপালী ব্যাংককে নিষ্পত্তি করতে হবে মোট ৪৫৭টি মামলা।
এরমধ্যে রিট মামলা ৩৫টি, অর্থ ঋণ মামলা ২৯২টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য ১৩০টি মামলা। বেসিক ব্যাংকের মোট ১১৫টি মামলার মধ্যে রিট ৩০টি, অর্থ ঋণ মামলা ৫০টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য ৩৫টি মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে এবং বিডিবিএল-কে মোট ১৩৫টি মামলার মধ্যে রিট ২৫টি, অর্থ ঋণ ৯০টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য ২০টি মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরে বিভিন্ন ক্যাটাগরির (রিট, অর্থঋণ, বিভাগীয় ও অন্যান্য) মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংক সার্বিকভাবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করলেও রিট মামলা নিষ্পত্তিতে অগ্রগতি কম। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে সম্পাদিত ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ (এপিএ)-এর অনুযায়ী সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত রিট মামলা নিষ্পত্তি করতে পেরেছে। অন্যদিকে জনতা, রূপালী, বেসিক ও বিডিবিএল রিট মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি।
সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বিভিন্ন ক্যাটাগরির (রিট, অর্থঋণ, বিভাগীয় ও অন্যান্য) মোট মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ৪৭৯টি। ব্যাংকগুলোর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানিয়েছে, এসব লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির (রিট, অর্থঋণ, বিভাগীয় ও অন্যান্য) মোট নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা হচ্ছে তিন হাজার ৯৭৯টি। অর্থাৎ সার্বিক লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫০০টি মামলার বেশি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি রূপালী ব্যাংক ও বিডিবিএল। সমাপ্ত অর্থবছরে রূপালী ব্যাংকের মোট মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫৭টি (রিট ৩৫টি, অর্থ ঋণ ২৯২টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য ১৩০টি)। এর বিপরীতে ব্যাংকটি মোট ২৮০টি (রিট ২১টি, অর্থ ঋণ ২০৩টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য ৫৬টি) মামলা নিষ্পত্তি করতে পেরেছে।
অন্যদিকে বিডিবিএল’র মোট মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩১টি (রিট ২৫টি, অর্থ ঋণ ৯০টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য ১৬টি)। এর বিপরীতে ব্যাংকটি মোট ২৯টি (রিট সাতটি, অর্থ ঋণ ছয়টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য ১৬টি) মামলা নিষ্পত্তি করতে পেরেছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত অর্থবছরে ৪০টি মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সোনালী ব্যাংক ৬৫টি এবং ৬০টি রিট মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অগ্রণী ব্যাংক ১০৯টি মামলা নিষ্পত্তি করেছে। অন্যদিকে ৮০টি রিট মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে জনতা ব্যাংক ৪৬টি, ৩৫টি রিট মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রূপালী ব্যাংক ২১টি, ৩০টি রিট মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বেসিক ব্যাংক ১৬টি এবং ২৫টি রিট মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিডিবিএল সাতটি মামলা নিষ্পত্তি করেছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতি তিন মাস পর মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাংক এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠাবে। এই প্রতিবেদন দেখে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।