পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিবছর মূলধন ঘাটতি মেটাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো বাজেট থেকে যে অর্থ বা মূলধন চাইতো তা থেকে সরে আসাকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় খাতের ব্যাংকগুলোর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করেছে সরকার, ঢেলে সাজানো হয়েছে এ ব্যাংকগুলোকে। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে গত ১০ বছরে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। এখন কেউ আমাদের মিসকিন বলতে পারবে না। বর্তমানে বাংলাদেশ চীন, কাতার, ভারত ও মালয়েশিয়ার কাতারে পৌঁছে গেছে।
গতকাল সোনালী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধু কর্নার ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সোনার বাংলার কনসেপ্ট নিয়ে জাতির জনক স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা। একই সঙ্গে বাংলা এবং বাঙালিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা। তার দেখানো পথে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, এটি শুধু একটি নাম নয়, একটি দর্শন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ও ‘মুজিব কর্নার’ স্থাপন করেছে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। এটা জাতির পিতার প্রতি আমাদের সম্মান। একই সঙ্গে জাতির জনক এ দেশ ও মানুষের কল্যাণে সারাজীবন ব্যয় করেছেন। জাতির জনকের নামে শুধু একটি ম্যুরাল এবং কর্নার উদ্বোধন করে তার অবদানকে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মার্চ মাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ মাসে বাঙালির অনেক অর্জন রয়েছে। এ মাসেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন হচ্ছে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং উন্নয়নশীল দেশের কাতারে এ মাসে পদার্পণ করেছে বাংলাদেশ বলে উল্লেখ করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে করোনাকালীন পরিস্থিতি শেষ হয়নি, এখনো চলমান। তিনি বলেন, অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রণোদনা প্যাকেজসহ সঠিক সময়ে নেয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর ছিলো। দেশকে এগিয়ে নিতে ব্যাংকগুলোকে কাজ করতে হবে বঙ্গবন্ধুর দেখানো নীতি আলোকে।
সভাপতির বক্তব্যে সোনালী ব্যাংকের সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান বলেন, করোনাকালে দেশের ব্যাংক খাত অর্থনৈতিক স্থবিরতা কাটাতে সরকারের নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছে। ফলে, বিশ্ব অর্থনীতির ভঙ্গুরতা স্বত্বেও বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েনি। এ সময় তিনি বলেন, আর্থিক খাতের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আলমগীর প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।