পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি অর্থবছরের (২০১৫-১৬) প্রথম ৯ মাসে দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকগুলো কৃষিঋণ বিতরণ করেছে লক্ষ্যমাত্রার ৭৮ দশমিক ১২ শতাংশ। তবে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে আলাদা আলাদা লক্ষ্যমাত্রা পূরণে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ সংক্রান্ত এক হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো চলতি অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৯ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। প্রথম ৯ মাসে বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ৬ হাজার ৫৪৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ পূরণ করেছে। এদিকে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর জন্য এই নির্দিষ্ট সময়ে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেয়া হয়েছে ৭ হাজার ১১০ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলো প্রথম ৯ মাসে বিতরণ করেছে ৬ হাজার ২৬৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এতে করে ব্যাংকগুলো লক্ষ্যমাত্রার ৮৮ দশমিক ১৭ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে পেরেছে। অর্থাৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর তুলনায় বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলো লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ১০ শতাংশ বেশি ঋণ বিতরণ করেছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত, বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলো এ নয় মাসে কৃষিখাতে ঋণ দিয়েছে মোট ১২ হাজার ৮১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। যেখানে পুরো বছরের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেয়া আছে ১৬ হাজার ৪শ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার ৭৮ দশমিক ১২ শতাংশ।
হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ৯ মাসে ব্যাংকগুলো সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করেছে খাদ্যশস্য উৎপাদনে। এতে বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ৬ হাজার ৬০৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর পরে কৃষকরা বেশি ঋণ নিয়েছে মুরগি পালন ও মাছ চাষের জন্য। মুরগি পালনের জন্য ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৮৩১ কোটি ৯৭ লাখ এবং মাছ চাষে মোট ঋণ দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৪০৪ কোটি ২১ লাখ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।