Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের আইটি ভারতের দখলে

সরকারি নির্দেশনার পরও উপেক্ষিত দেশীয় প্রতিষ্ঠান : প্রতি বছর ৫০০ কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২০, ১২:০৫ এএম

ডিজিটালাইজেশনের দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে দেশি প্রতিষ্ঠানকে প্রাধান্য দেয়ার নির্দেশ রয়েছে সরকারের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চান দেশীয় প্রযুক্তির বিকাশ ঘটুক। অথচ সেই নির্দেশ উপেক্ষিতই থাকছে। এখনো অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বিপুল অর্থ খরচ করে বিদেশ থেকে সফটওয়্যার আমদানি করছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা সত্তে¡ও যুগের পর যুগ বিদেশি কোম্পানির সফটওয়্যার ব্যবহার করছে ব্যাংকসহ দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠান। দেশি সফটওয়্যার ব্যবহারে যেসব খাতে অনুৎসাহ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম ব্যাংকিং। ব্যাংকগুলো ৪/৫ গুণ বেশি দাম দিয়ে ভারতীয় কোম্পানির কাছ থেকে সফটওয়্যার কিনছে। সরকারি ব্যাংকগুলোর কিছু অসাধু কর্মকর্তার একটি সিন্ডিকেট নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ভারতীয় সফটওয়্যার কোম্পানির পক্ষে কাজ করছে। এতে বছরে শুধু ব্যাংক খাত থেকেই ৫০০ কোটি টাকার বেশি বিদেশে চলে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রতি বছর কয়েক হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। পাশাপাশি দেশের ব্যাংকিং খাতসহ সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের তথ্য চলে যাচ্ছে ভারতের কাছে, যা দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। এছাড়া কর্মসংস্থানও যাচ্ছে ভারতের দখলে।

দেশে এখন ৬২টি ব্যাংকের মধ্যে ৬০ শতাংশেই বিদেশি কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়। দেশি সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয় বাকি ৪০ শতাংশ ব্যাংকে। দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাংকসহ সরকারি কেনাকাটায় দেশি সফটওয়্যারের ব্যবহারকে আরো বেশি প্রাধান্য দেয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। গত বছরের ১৭ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে যুগ্ম সচিব মো. রিজওয়ানুল হুদা স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে দেশীয় কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়, যা পরবর্তীতে আবার গত বছরের ১০ জুলাই রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাস্তবায়নে সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী ব্যাংকসহ সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশনাটি দেয়া হয়। এই নির্দেশনা প্রতিপালনের মাধ্যমে দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হয়। অথচ এই নির্দেশের পর এক বছর অতিবাহিত হলেও কৃষি ব্যাংক ছাড়া কেউই এই নির্দেশ এখনো বাস্তবায়ন করেনি। এটিকে গোড়ায় গলদ বলছেন খাত সংশ্লিষ্ট অনেকেই। কারণ নির্দেশনা প্রদানকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি খাতও ভারতীয় নাগরিক রাকেশ আস্তানার প্রতিষ্ঠানের দখলে।

যদিও এর আগে বিভিন্ন সময়ে চলমান বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বছরেই দেশের সব ব্যাংকে ‘কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার’ (সিবিএস) ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছিলেন দেশের তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার থাকা সত্তে¡ও রাষ্ট্রায়ত্ত একাধিক ব্যাংক কেন বিদেশি সফটওয়্যার ব্যবহার করছে? বিদেশি সফটওয়্যারের ওপর কর বাড়ানোসহ সরকারের সহায়তা পেলে বাংলাদেশে তৈরি সফটওয়্যার স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বিশ্ব জয় করবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশীয় আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, যা বর্তমান করোনাকালীন সঙ্কটে থাকা আর্থিক খাতকে কিছুটা হলেও সক্ষমতা বাড়াবে। এছাড়া বাড়বে কর্মসংস্থান।

সূত্র মতে, বাংলাদেশে আইটি সেক্টর ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় রোধে এই সেক্টরকে সরকারিভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সরকার নিজেও আইটি সেক্টর নিয়ে আশাবাদী। এই সেক্টরের মাধ্যমে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে বলা হচ্ছে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের আগেই দেশ পুরোপুরি আইটিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হিসেবে গড়ে উঠবে। সরকারের ভিশন ’২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বছরে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের টার্গেট নিয়েছে। আর ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশে আইটি সেক্টরের বয়স খুব বেশিদিন নয়। এরপরও তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ আইটি সেক্টরে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে। দেশের তরুণ-তরুণীরা আইটি সেক্টরে বড় অবদান রেখে যাচ্ছে। তারা নিজ উদ্যোগেই আউটসোর্সিং করে যাচ্ছে। এতে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। গত ১১ বছরে আইটি সেক্টরে বড় রকমের অগ্রগতি অর্জন করেছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আইটি সেক্টর দিন দিন উন্নত হচ্ছে। দেশে গড়ে উঠেছে কয়েকশ’ সফটওয়্যার শিল্প প্রতিষ্ঠান। এসব সফটওয়্যার শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার সরাসরি সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণেই বাংলাদেশ আইটি শিল্পে দিনকে দিন উন্নতি করছে। বর্তমানে প্রতি বছর বিদেশে সফটওয়্যার শিল্প থেকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত রফতানি পোশাক শিল্প খাতকে ছাড়িয়ে যাবে বলে বিভিন্ন সময়ে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সে পথে অনেকটাই অগ্রসরমান দেশের আইটি খাত।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, ২৫ কোটি টাকার যে সফটওয়্যার আমরা দু’টি মন্ত্রণালয়ে ব্যবহার করব, তাতে ১০০ কোটি টাকার ওপরে সরকারের সাশ্রয় হবে। যদি বিদেশি কোম্পানিকে দেয়া হতো তাহলে হয়তো প্রায় ১০০ কোটি টাকা লাগত আর মাসে মাসে বা বছরে বছরে লাইসেন্স ফি তো আছেই। সরকার থেকে দেশি কোম্পানিকে সহায়তা করছি, যা অব্যাহত থাকবে। সরকারি-বেসরকারি খাতের কোলাবরেশন যদি আরো জোরদার হয়, তাহলে আমাদের সফটওয়্যার খাতের কাজ দেশি কোম্পানিকে দিয়েই পূরণ করা সম্ভব। কিন্তু সরকারের নানা উদ্যোগের পরও দেশের রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালীসহ অন্য ব্যাংকগুলো এখনও চলছে বিদেশি সফটওয়্যারের মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সহযোগী অধ্যাপক ও ব্যাংক খাতের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান আলম ইনকিলাবকে বলেন, দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ভালো সুযোগ আছে। ব্যাংকগুলোর আইটি খাতে ব্যবহার করা সম্ভবও। কিন্তু দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সেভাবে সক্ষমতা তৈরি হচ্ছে না। যদিও ইতোমধ্যে দেশে ভালো ভালো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তবে বিনিয়োগ সেভাবে বাড়ছে না। কারণ তারা বড় পরিসরে সেভাবে সুযোগ পাচ্ছে না। এক্ষেত্রে তিনি সবাইকে মিলে একটি ইউনিটক সফটওয়্যার তৈরির আহ্বান জানান। এ ক্ষেত্রে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একসঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এগিয়ে আসার কথা বলেন। এটা করতে পারলে ধীরে ধীরে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের দৌরাত্ম্য কমবে। একই সঙ্গে দেশীয় যেসব প্রতিষ্ঠান একবার বিদেশি প্রতিষ্ঠানে আকৃষ্ট হয়েছে তারা তা ছাড়তে পারছে না। তারা মনে করছে, এতে ঝুঁকিতে পড়তে পারে ব্যাংক। আর এ কারণে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সুযোগ পাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।



 

Show all comments
  • Nayon Miji ১৬ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৫ এএম says : 0
    আহা দেখার কেউ নেই
    Total Reply(0) Reply
  • Foysal Shawon ১৬ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৫ এএম says : 0
    এর জন্যই রিজার্ভ চুরি হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Rahmat Ullah ১৬ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৬ এএম says : 0
    গালি গালাজ করে লাভ নাই , আইটি দক্ষ লোক এবং সফটওয়্যার ইন্জিনিয়াররা দেশে দাম না পেলে কি করবে । গুগল, ফেসবুকেই তো জয়েন করবে আর আমরা শেয়ার দিয়ে যাবো
    Total Reply(0) Reply
  • Tahmid Ahmed ১৬ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৬ এএম says : 0
    এগুলো আর নতুন কি। সবকিছুতেই তারা দখল করে রাখছে। ভারত শুধু পারে বাংলাদেশের সাথে। দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশের সাথে তাদের সম্পর্ক ভালো নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • S Ahammed ১৬ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৬ এএম says : 0
    বাংলাদেশের সবকিছুই এখন দাদাদের দখলে
    Total Reply(0) Reply
  • Mahabub Alam ১৬ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 0
    বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশের চেয়ে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে ভারত, আর ভারতের লাভবান হওয়ার জন্য সুযোগ করে দিয়েছে আওয়ামিলীগ সরকার, বিনিময়ে আওয়ামীলীগ অনিদিষ্ট কালের জন্য ক্ষমতা, সুতরাং আওয়ামিলীগ সতদিন ক্ষমতা বসে থাকবে ততদিন ভারত বাংলাদেশ কে চুষে চুষে খাবে, আর আওয়ামিলীগ চুষে খাবে বাংলাদেশের জনগনকে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohsin Chowdhury ১৬ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 0
    শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক কেন এখন দেশের সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হয় দাদাদের ইচ্ছায়!
    Total Reply(0) Reply
  • Ib Khan ১৬ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 0
    দুনিয়ার কোন দেশ থেকে এতো সুবিধা ভারত পায়নাই বাংলাদেশ থেকে যা পায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Lotiful Islam ১৬ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 0
    ব্যাংকখাত কে অনিরাপদ করতে এটাই যথেষ্ট........! ডিজিটাল বাংলাদেশের আইটি যখন ভারতের হাতে তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পুনরাবৃত্তি ঘটতে তাকলে অবাক হওয়ার কিছু নেই..
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullah Al Mamun ১৬ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৮ এএম says : 0
    বাংলাদেশ উন্নয়ন শুধু এটা হয়েছে ১১ বছরে ভারত লাভের জন্য যা যা লাগে তাই ভারত কে দেওয়া।
    Total Reply(0) Reply
  • Mahamudul Ahsan ১৬ জুলাই, ২০২০, ৫:৪৭ এএম says : 0
    না , এভাবে চলতে দেয়া যায় না।
    Total Reply(0) Reply
  • habib ১৬ জুলাই, ২০২০, ৯:২৪ এএম says : 0
    Bangladesh er kon jaigata ekhon nirapod ache ektu bolben ki ?
    Total Reply(0) Reply
  • Engr M.A.Rahman ১৬ জুলাই, ২০২০, ৯:১৫ পিএম says : 0
    If Govt. is serious than our IT sector will definitely improve. The banking sector ( specially the govt. sector) should be compled to use local software.
    Total Reply(0) Reply
  • আবু নাইম হুসসাইন ১৬ জুলাই, ২০২০, ১১:১৭ পিএম says : 0
    বাংলার জনগন কে এর প্রতিবাদ করা দরকার ""
    Total Reply(0) Reply
  • আবু নাইম হুসসাইন ১৬ জুলাই, ২০২০, ১১:১৭ পিএম says : 0
    বাংলার জনগন কে এর প্রতিবাদ করা দরকার ""
    Total Reply(0) Reply
  • Sadat ১৭ জুলাই, ২০২০, ১২:১৩ এএম says : 0
    মানুষ খুব বেশি আবেগি। দেশি সফটওয়্যার ইউজ করতে বললেই হয়ে যায় না। আর সব জায়গায় কনস্পিরেসি কপচানো ঠিক না। এটা বেশি বেশি হয়ে যায়। দেশি সফটওয়্যারের যদি security compliance থাকে এবং competitive price offer করতে পারে, তাহলে সেটা চয়েস না হওয়ার একটা মাত্র কারণ বাকি থাকে। সেটা সবাই জানেন। বেশি বলার কিছু নাই। আমরা বাংলাদেশি এগুলা মেনে নিয়েই চলতে হবে। যদি আপনার software এর quality, feature, security, interface, after sales support ইত্যাদি বিষয়গুলা আন্তর্জাতিক মানের হয়, কে আপনাকে deny করবে? ভারতের সাথে তুলনা দিয়ে লাভ নেই। খোঁড়ার সাথে তুলনা দিয়ে রেইসে ফার্স্ট হয়ে তো খুশি হওয়ার কিছু নেই। ভারতীয় software-এর চেয়ে মানের দিক থেকে ভালো হয়ে আত্মতুষ্টিতে না ভুগে উচিত হবে ইউরোপিয়ানদের মানের সফটওয়ার তৈরি করা... কথা গুলা ভালো লাগবে না। কিন্তু বাস্তবতা। যাই হোক...
    Total Reply(0) Reply
  • Sadat ১৭ জুলাই, ২০২০, ১২:১৩ এএম says : 0
    মানুষ খুব বেশি আবেগি। দেশি সফটওয়্যার ইউজ করতে বললেই হয়ে যায় না। আর সব জায়গায় কনস্পিরেসি কপচানো ঠিক না। এটা বেশি বেশি হয়ে যায়। দেশি সফটওয়্যারের যদি security compliance থাকে এবং competitive price offer করতে পারে, তাহলে সেটা চয়েস না হওয়ার একটা মাত্র কারণ বাকি থাকে। সেটা সবাই জানেন। বেশি বলার কিছু নাই। আমরা বাংলাদেশি এগুলা মেনে নিয়েই চলতে হবে। যদি আপনার software এর quality, feature, security, interface, after sales support ইত্যাদি বিষয়গুলা আন্তর্জাতিক মানের হয়, কে আপনাকে deny করবে? ভারতের সাথে তুলনা দিয়ে লাভ নেই। খোঁড়ার সাথে তুলনা দিয়ে রেইসে ফার্স্ট হয়ে তো খুশি হওয়ার কিছু নেই। ভারতীয় software-এর চেয়ে মানের দিক থেকে ভালো হয়ে আত্মতুষ্টিতে না ভুগে উচিত হবে ইউরোপিয়ানদের মানের সফটওয়ার তৈরি করা... কথা গুলা ভালো লাগবে না। কিন্তু বাস্তবতা। যাই হোক...
    Total Reply(0) Reply
  • Alamgir Hossain ১৭ জুলাই, ২০২০, ১১:২০ এএম says : 0
    আহারে চোরের দল।
    Total Reply(0) Reply
  • SHAHID ১৭ জুলাই, ২০২০, ৪:৪৮ পিএম says : 0
    There is 2 type people benifiting doing this process in implementing / using softwear 1 is to earn more money by the office staff because the Indian Agents are offering huge moneyand the 2nd is Indian agents : Now Bangladesh is Directing by the Indian " Raw" in everywhire they are engaged to established/engaged all Indian interest Thanks
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ