বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মামলার ভার্চুয়াল রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামির দণ্ড মওকুফ করে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ ভার্চুয়াল রায়ে এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো-শুকুর আলী এবং নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত। আসামিদের সবার বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের আব্দুল মালেক ঝনুর মেয়ে সাবিনা (১৩) প্রতিবেশীর বাড়িতে টেলিভিশন দেখে নিজ বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা তাকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে লালনগর এলাকার মাঠের মধ্যে ওই তরুণীকে আসামিরা উপর্যুপরি ধর্ষণের পর হত্যা করে। এ ঘটনায় সাবিনার পিতা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ ও যুক্তি-তর্ক শেষে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আকবর হোসেন ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচ আসামির প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। অবশ্য মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনের মধ্যে আসামি কামরুল পরবর্তীতে মারা যান। এরপর কারাবিধি মোতাবেক মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করতে (ডেথ রেফারেন্স) অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরআগে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন।আপিলের শুনানি শেষে ঘোষিত রায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনের সাজা মওকুফ করে প্রত্যেকককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আদালতে আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।