বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোর সদর উপজেলার ঘোড়াগাছা গ্রামের শিশু ইমরান হত্যা মামলায় তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামীসহ দু’আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন যশোর স্পেশাল জজ আদালত। বুধবার দুপুরে স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন এ দণ্ডাদেশ দেন। একইসাথে এ মামলার অপর দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
দণ্ডিতরা হলেন, ঘোড়াগাছা গ্রামের আন্দাউল্লাহ আজিজের ছেলে সবদুল ও আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল হাকিম। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, একইগ্রামের দাউদ মোড়লের ছেলে ইদ্রিস আলী ও খোড়া কাশেমের ছেলে ইকবাল হোসেন।
স্পেশাল জজ আদালতের পিপি এসএম বদরুজ্জামান পলাশ জানিয়েছেন, ২০০১ সালের ২৪ এপ্রিল খুন হয় শিশু ইমরান (১২)। তার বাবার সাথে মা কহিনূর বেগমের বিবাহ বিচ্ছেদের পর আসামি সবদুলকে পুনরায় বিয়ে করেন তার মা। বিয়ের পর থেকে প্রথম ঘরের সন্তান ইমরানকে নিয়ে কহিনূর বেগমের তার দ্বিতীয় স্বামী সবদুলের প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। ঝগড়ার সময় সবদুল একাধিকবার ইমরানকে হত্যার করার হুমকি দেয়। কহিনূর বেগম সন্তানের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সবদুলের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায়। এতে ক্ষিপ্ত হয় সবদুল।
বিচ্ছেদের প্রায় ৭ মাস পর ২০০১ সালের ২৪ এপ্রিল বিকেলে ইমরান খেলা করতে বের হয়ে আর বাড়ি না ফেরায় তার নানার বাড়ির লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করে। একপর্যায়ে গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার পানের বরজের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ইমরানের নানা হায়াৎ আলী মল্লিক এ ঘটনায় সবদুল, আব্দুল হাকিম, ইদ্রিস আলী ও ইকবাল হোসেনকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
পিপি আরো জানান, দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে বুধবার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আসামি সবদুল ও আব্দুল হাকিমকে মৃত্যুদÐ ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। এছাড়া ইদ্রিস আলী ও ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন।
রায় ঘোষণা শেষে দন্ডিত আব্দুল হাকিমকে কারাগারে পাঠানোর এবং সবদুল পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন বিচারক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।