বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাদারীপুরের শহরের পাঠককান্দি এলাকায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে হত্যার অভিযোগে রফিকুল ইসলাম নামে এক যুবককে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে মাদারীপুর জেলা জজ ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা আসামী রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিইে এই আদেশ দেন।
মাদারীপুর জজ কোর্টর পিপি এডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং জানান, ইটালি প্রবাসী রুহুল আমিন সাদ্দামের স্ত্রী রুমা আক্তার (২৬) মাদারীপুর শহরের পাঠককান্দ এলাকার ভাড়া বাসায় থাকত। স্বামী বিদেশ থাকার সুবাদে ঘটনার তিন বছর আগে রুমার সাথে মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া গ্রামের পান্নু হাওলাদারের ছেলে রফিকুল ইসলামের (৩২) সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কের জের ধরেই একাধিকবার শারিরিক সম্পর্ক হয়। গত ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ রাতে রফিকুল রুমার ফ্লাটে যায়। এক পর্যায় দুজনের শারিরিক সম্পর্ক হয়। এসময় রুমা বিয়ের জন্য রফিকুলকে চাপ প্রয়োগ করে। এরপর ১১টার দিকে রফিকুল কফির সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে রুমাকে খেতে দেয়। ঘুমিয় পড়লে রুমার হাত পা বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় পরের দিন মাদারীপুর সদর থানায় নিহত রুমার মা হেনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত করে জানতে পারে রুমার সাথে রফিকুলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হত। সেই সুত্র ধরেই রফিকুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং আদালতে জবাব বন্দি দেয়। পরে পুলিশ ২০১৮ সালে ২ আগষ্ট আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করে। তিনি আরও বলে, এই ঘটনায় দীর্ঘ দুই বছর পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত রফিকুলকে দোষি সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন।
এই রায়ে নিহতের পরিবার সন্তুষ্ঠ প্রকাশ করেছেন। নিহতের মা মামলার বাদী হেনা বেগম বলেন, আমরা এই রায়ে খুশি। আমরা চাই দ্রুত রায় বাস্তবায়িত হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।