Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দ্রুত কন্টেইনার খালাসে বন্দর আরো গতিশীল হবে

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে বিজিএমইএ নেতাদের মতবিনিময়

চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

দ্রুত সময়ে কন্টেইনার খালাস হলে বন্দরে জট হবে না জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেছেন, আমদানিকারকেরা যত দ্রæত পণ্য খালাস নেবেন বন্দর তত বেশি গতিশীল হবে। বর্তমানে বন্দরে জটের কোন আশঙ্কা নেই। গতকাল মঙ্গলবার তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে ২২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, করোনাকালেও চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘণ্টা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হলো বন্দর ব্যবহারকারীদের যথাযথ সেবা দেয়া তথা আমদানি-রফতানি কার্যক্রম পুরোদমে সচল রাখা। কন্টেইনারের বৈশ্বিক সংকটে রফতানি বাণিজ্য যখন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল তখন আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে এর সমাধান বের করার চেষ্টা করেছি। এরফলে সুফল মিলেছে। এখন রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
তিনি বলেন, আমদানি কন্টেইনার বন্দরে আসার পর যত দ্রæত সম্ভব খালাস করে নিয়ে যেতে হবে। কন্টেইনার বন্দরে পড়ে থাকলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর কোথাও এফসিএল কন্টেইনার বন্দর থেকে খালাস হয় না। তারপরও আমরা বন্দর থেকে খালাসের সুযোগ দিচ্ছি।। তাই যত কম সময়ে কন্টেইনার খালাস হবে বন্দরের কাজের গতি তত বেশি হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, করোনা শুরুর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমাদের রফতানি ছিল ৩৪ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা ৬ বিলিয়ন ডলার কমে হয়েছে ২৮ বিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ অর্থবছরে এ খাত কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রফতানি হয়েছে ৩৪ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। সরকারের সহযোগিতা ও চট্টগ্রাম বন্দরের নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার ফলেই আমরা এটি অর্জন করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, সেটি সমাধানে আমরা শিপিং লাইন ও বায়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর এ দেশীয় প্রধানদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। যাতে কোনো একটি শিপিং লাইনকে পণ্য পরিবহনে নির্দিষ্ট করে দেওয়া না হয়। বায়াররা ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যরে কন্টেইনারে পণ্য রফতানি চান, সেটি যাতে ২০ ফুট কন্টেইনারেও করা যায় সেবিষয়েও আলোচনা চলছে। চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো জট নেই বলে বিভিন্ন দেশের বায়ারদের জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মতবিনিময় সভার শুরুতে বন্দরের বর্তমান কার্যক্রমের ওপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম। তিনি জানান, গত ১৫ দিন অর্থাৎ ১ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত অন অ্যারাইভাল বার্থিং পাচ্ছে কন্টেইনারবাহী জাহাজ। কন্টেইনারবাহী জাহাজ না থাকায় কার্গোবাহী জাহাজের পণ্যও খালাস করা হচ্ছে কন্টেইনার জেটিতে। যেখানে কলম্বো ও সিঙ্গাপুর বন্দরে বার্থিং করতে ৭ দিন, চীনে ১০ থেকে ১২ দিন ও আমেরিকার বন্দরগুলোতে ২০ থেকে ২২ দিন লাগছে।
গত ১৮ জুলাই বেসরকারি আইসিডিগুলোতে রফতানি কন্টেইনার ছিল ১৭ হাজার ৯৬টি আর খালি কন্টেইনার ছিল ২৮ হাজার ২৯৬টি। সেখানে ১৫ আগস্ট এ সংখ্যা কমে রফতানি পণ্যবাহী কন্টেইনারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৬০টিতে আর খালি কন্টেইনার আছে ৪০ হাজার ১০টি।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ’র প্রথমম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, মঈনউদ্দিন আহমেদ মিন্টু, সাবেক পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ। সভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (অর্থ) মো. কামরুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম বন্দর

৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
১৪ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ