পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম বন্দর ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরমুখী সড়কে শৃঙ্খলা ফিরছে। ব্যস্ততম পোর্ট কানেকটিং রোড ও সিটি আউটার রিং রোডে গড়ে ওঠা অঘোষিত টার্মিনাল সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। উচ্ছেদ করা হয়েছে অবৈধ পার্কিং, ট্রাক, কার্ভাড ভ্যান ও লরির স্ট্যান্ড। গতকাল শনিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বন্দর ও পশ্চিম বিভাগের সদস্যরা অভিযান শুরু করেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংযোগ সৃষ্টিকারী পোর্ট কানেকটিং রোডের নীমতলা থেকে শুরু করে বড়পোল পর্যন্ত অংশে দুই পাশে রাখা সারি সারি ভারি যানবাহন সরিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি যানবাহনকে করা হয় জরিমানা।
একই সময়ে পতেঙ্গা সৈকত থেকে শুরু করে জেলে পাড়া পর্যন্ত সিটি আউটার রিং রোডেও অবৈধ পার্কিং করা যানবাহন এবং ট্রাক, কার্ভাড ভ্যান ও লরির স্ট্যান্ড সরিয়ে দেওয়া হয়। এতে চট্টগ্রাম বন্দর ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরমুখী এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজট কমেছে। আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী ভারী যানবাহনসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সড়কেও এ ধরনের অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা।
রাস্তার ওপর অঘোষিত টার্মিনাল আর অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরমুখী সবকটি সড়কে অচলাবস্থা নিয়ে গত ৮ ও ৯ আগস্ট দৈনিক ইনকিলাবে দুটি সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পর গত ১০ আগস্ট সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়কে বন্দরমুখী সবকটি সড়ক থেকে অবৈধ টার্মিনাল, স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করার ব্যবস্থা নিতে বলেন। বন্দর এলাকার সড়কে শৃঙ্খলা আনতে নগর ভবনে মেয়রের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসা পুলিশ কমিশনারের সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র। পুলিশ কমিশনারও তাকে এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ^াস দেন। ওই বৈঠকের দুইদিন পর সড়কে শৃঙ্খলা আনতে মাঠে নামে পুলিশ।
এ বিষয়ে গতকাল সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। বন্দরমুখী সড়কে বিশৃঙ্খলা, যানজট কোনভাবেই কাম্য নয়। নগরীর প্রতিটি সড়ক ও ফুটপাত যানজট ও দখলমুক্ত করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা ট্রাফিক বিভাগের সহযোগিতা চেয়েছি। কর্পোরেশনের উদ্যোগেও নগরীর সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযান চলছে। মেয়র বলেন, অর্থনীতি আর আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সচল রাখতে হলে বন্দর এলাকাকে যানজটমুক্ত রাখতে হবে। বিমানবন্দরে নেমেই একজন বিদেশি বিনিয়োগকারী যদি সড়কে বিশৃঙ্খলা দেখেন তাহলে এই মহানগরী সম্পর্কে তার একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরী হবে। সেটি কোনভাবেই কাম্য নয়। বিমান বন্দরমুখী সবকটি সড়ক অবৈধ দখলমুক্ত করে খুবশিগগির সৌন্দর্য বর্ধন কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও জানান মেয়র।
সিএমপির কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে এমনিতেই যানবাহনের তুলনায় সড়ক অপ্রতুল। আর বাস্তব কারণেই চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় ভারী যানবাহনের চাপ বেশি। এসব সীমাবদ্ধতার মধ্যেও নগরীকে বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দর এলাকাকে যানজটমুক্ত রাখতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংযোগ সৃষ্টিকারী সড়কে যাতে যানবাহন চলাচলে কোন রকম প্রতিবন্ধকতা না হয় ট্রাফিক বিভাগ সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে নগরবাসীকে নিরাপদ রাখার পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দ্যে পথ চলার ব্যবস্থাও করতে হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরমুখী সড়কের মধ্যে সবচেয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থা পোর্ট কানেকটিং রোডে। এছাড়া কাস্টম ব্রিজ থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত টোল রোডেও দখলবাজির কারণে তীব্র যানজট। একই দৃশ্য নগরীর বারিক বিল্ডিং থেকে মাদারবাড়ি হয়ে কদমতলী পর্যন্ত সড়কে। দুটি সড়ক এখনও ট্রাক, কার্ভাডভ্যান ও লরির অঘোষিত টার্মিনাল। নব নির্মিত সিটি আউটার রিং রোডেও অবৈধ পার্কিং চলছে। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নগরীর লালখান বাজার পর্যন্ত সড়কে চলছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ। এই কাজে ধীরগতির কারণে নগরীর প্রধান সড়কটির অবস্থা এখন বেহাল। এরফলে নগরীর পতেঙ্গা থেকে ইপিজেড হয়ে বন্দর, বারিক বিল্ডিং থেকে আগ্রাবাদ পর্যন্ত যানজট স্থায়ী রূপ নিয়েছে। বন্দরকে ঘিরে প্রতিটি সড়কে তীব্রজটে বিঘ্নিত হচ্ছে আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহন।
এ অবস্থায় সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ট্রাফিক বিভাগ মাঠে নেমেছে। পোর্ট কানেকটিং রোডের সাথে সাথে সিটি আউটার রিং রোডেও অবৈধ পার্কিং সরানো হয়েছে গতকাল। সিএমপির ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক বন্দর বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. তারেক আহম্মদ বলেন, পর্যায়ক্রমে বন্দরমুখী সবকটি সড়কে অভিযান চলবে। কোন সড়কে অবৈধ পার্কিং, স্ট্যান্ড বা টার্মিনাল করা যাবে না। ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছেন। তবে বন্দর এলাকা পর্যাপ্ত টার্মিনাল না হলে এ অভিযানে স্থায়ী সুফল পাওয়া যাবে না। টার্মিনাল না থাকায় বাধ্য হয়েই এসব ভারী যানবাহন রাস্তায় রাখা হচ্ছে। শুধু পুলিশী অভিযান আর জরিমানা করে সমাধান আসবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে টার্মিনাল নির্মাণে চট্টগ্রাম বন্দর, সিডিএ অথবা সিটি কর্পোরেশনকে এগিয়ে আসতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।