গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ভারতের সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করে রাজধানীতে বিক্রি করতে এসে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনাল টিমের হাতে গ্রেফতার হলেন বিএনপি নেতা মো. জানিবুল ইসলাম জোসি।
অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে জড়িত মো. বাসির আলী নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, আট রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, রাজধানীর সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে সোমবার (১৬ আগস্ট) রাতে দুটি অস্ত্র ও গুলিসহ এ দুই জনকে গ্রেফতার করে ডিবি ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনাল টিম। গ্রেফতার জানিবুল ইসলাম জোসি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের ফ্রন্টলাইনার ছিলেন। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও শিবগঞ্জ থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, গ্রেফতাররা ভারতের সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য রাজধানীতে নিয়ে আসে। তারা কয়েক বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানা এলাকা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে আসে। এ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় মামলা হয়েছে।
এ কে এম হাফিজ আক্তার আরও বলেন, গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মাদ আশরাফ হোসেনের দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. তরিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ডেমরা জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আজহারুল ইসলাম মুকুলের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরেকটি অভিযানের বিষয়ে ডিবি প্রধান বলেন, সোমবার রাতে যাত্রাবাড়ী থানার কাজলা এলাকা থেকে অজ্ঞান ও মলম পার্টির পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ চক্রটি অটোরিকশা চালক, মোটরসাইকেল চালক, প্রাইভেটকার চালক ও যাত্রীদের সু-কৌশলে মধুর সঙ্গে চেতনানাশক ট্যাবলেট মিশিয়ে বিস্কুট, কলা, চা, জুস ও ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের মাধ্যমে খাইয়ে দামি গাড়ি ও মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিত।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. মাসুদ মিয়া ওরফে মাসুদ রানা, মো. সুমন কারাল ওরফে সুমন ফকির, মো. শাহিন ওরফে শামিম গাজী, শাওন ও মো. সজল।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯০টি চেতনানাশক ট্যাবলেট, অজ্ঞান ও মলম পার্টির ব্যবহৃত মধুর কৌটা, দুটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।