প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
পরীমনি কান্ডে সাম্প্রতিক সময়ে চলচ্চিত্রে বেশ তোলপাড় চলছে। চলচ্চিত্রের বাইরে তার জীবনাচার নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। একজন শিল্পীর দায়িত্ব কি এবং তাকে কিভাবে শিল্পীসত্ত্বা টিকিয়ে রাখতে হয়, এ নিয়েও অনেকে কথা বলেছেন। চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, চলচ্চিত্রে যারা শিল্পী বিশেষ করে নায়িকা তাদের অবশ্যই শালীনতা বজায় রাখতে হবে। নিজের নিরাপত্তার জন্য, ক্যারিয়ারের জন্য শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপন করতে হবে। তার পেশাগত কাজকে ভালোবাসতে হবে। কাজকে শ্রদ্ধা করতে হবে। পয়সার পেছনে দৌড়ালে শিল্পী হওয়া যায় না। শিল্পী হলে এমনিতেই যশ, খ্যাতি আসে। তিনি বলেন, চলচ্চিত্র শিল্প-সংস্কৃতির বড় মাধ্যম। মানুষ চলচ্চিত্র দেখতে পছন্দ করে। এ অঙ্গণের মানুষের প্রতি তাদের আলাদা আগ্রহ থাকে। ফলে প্রত্যেক শিল্পীকেই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে জীবনযাপন করতে হয়। আমি শাবানা, কবরী, ববিতা ম্যাডামদের ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমায় এসেছি। সবসময় তাদের অনুসরণ করেছি। এই মাধ্যমে ভালোবেসে কাজ করতে এসেছি। কাজের প্রতি নিবেদিত ছিলাম। সবসময় সিনেমার কাজের মধ্যেই ডুবে থাকতাম। বাইরের জগতে কি হচ্ছে জানতাম না। শুটিং নিয়েই ব্যস্ত থেকেছি। কখন সকাল হয়েছে, কখন বিকেল হয়ে রাত হয়ে গেছে টের পেতাম না। সকালে এফডিসি আছি তো বিকেলে আউটডোরে চলে গেছি। এভাবে কাজের মধ্যে ডুবে থেকে জীবন কাটিয়েছি। তিনি বলেন, একজন শিল্পীকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন থাকতে হয়। সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, এমন কাজ থেকে দূরে থাকতে হয়। রোজিনা বর্তমানে বাসায় সময় কাটাচ্ছেন। করোনার কারণে বাসা থেকে খুব কম বের হন। বাসায়ই সিনেমা দেখে বই পড়ে সময় কাটান। লকডাউনের আগে তার পরিচালিত সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমা ফিরে দেখা’র বেশিরভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।