পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন হলেও আন্দোলন চলবে। তাকে হয়রানি ও নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কেউ মামলা না করলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) পক্ষ থেকে মামলা করা হবে। পাশাপাশি এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য ডিআরইউয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হবে। গতকাল শুক্রবার ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে এসব তথ্য জানান সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।
তিনি বলেন, রোজিনার মামলার শুনানি হয়ে গেছে, আগামী রোববার জামিন বিষয়ে আদেশ দেবে। জামিন পেলেই আমাদের এ আন্দোলন থেমে যাবে না। আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখব। এই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং যারা রোজিনা ইসলামকে হয়রানি ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
মানববন্ধনে অন্যান্য সাংবাদিকরা বলেন, সাংবাদিকদের প্রতি ষড়যন্ত্র চলছে। আপনারা রোজিনা ইসলামের ঘটনা দেখেছেন। তাকে গলা টিপে ধরা হয়েছে। এটা করে সরকারি কর্মকর্তারা ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারায় মামলা করা উচিত। সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতি করে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, তাদের অনেক ক্ষমতা হয়েছে। দাপট দেখিয়ে তারা দুদকের কিছু ধারা পরিবর্তন করে নিজেদের পক্ষে নিয়েছেন। তারা নিশ্চিত হয়েছেন দুদক তাদের কিছু করতে পারবে না। শুধু বাকি রইলো সাংবাদিক। এখন সাংবাদিক ঠেকাও। তাদের সাংবাদিক ঠেকানোর অবস্থা এখন এমন হয়েছে যে, রোজিনা ইসলাম তার বলি হয়েছে।
৮৩ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি : সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৮৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, আমরা সরকারের কাছে অবিলম্বে এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার, রোজিনার নিঃশর্ত মুক্তি ও তার ওপর নির্যাতনের বিষয়ে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনারও জোর দাবি করছি। বিবৃতিতে বলা হয়, নাগরিক সমাজসহ সবাই আশা করেছিল যে ঘটনার সংবেদনশীলতা, নাগরিকের জামিন পাওয়ার অধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে দৃঢ়তা প্রদর্শন করে বৃহস্পতিবারই তার জামিন মঞ্জুর হবে। কিন্তু জামিন আদেশের দিন রোববার ধার্য করা হয়। এ বিষয়ে নাগরিকেরা বিবৃতিতে বলেন, রোজিনাকে জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে আদালতের এই বিলম্ব আমাদের যারপরনাই হতাশ এবং ক্ষুব্ধ করেছে। রোজিনার বিরুদ্ধে করা মামলার ধারাগুলোর প্রতিটি জামিনযোগ্য উল্লেখ করে নাগরিকেরা বলেন, জামিন পেলে এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে কোনো রকমের জটিলতা সৃষ্টি হতো না।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন, শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সুলতানা কামাল, হাফিজ উদ্দিন খান, রাশেদা কে চৌধূরী, হোসেন জিল্লুর রহমান, অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন, মন্ত্রিপরিষদের সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহ্দীন মালিক, জেড আই খান পান্না, সারা হোসেন, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অধ্যাপক আলী রীয়াজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সি আর আবরার, আসিফ নজরুল, গীতি আরা নাসরীন, রোবায়েত ফেরদৌস, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, মানবাধিকারকর্মী শারমীন মুরশিদ, সঞ্জীব দ্রং প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।