বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নোয়াখালী সদর উপজেলায় এক বিএনপির নেতাকে গুলি করে কুপিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছে। নিহত হারুনুর রশীদ মোল্লা (৪৫) আন্ডারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের মৃত নছিবুল হকের ছেলে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে আন্ডারচর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার হাটের পশ্চিমে তালতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের ভাই আমিনুল হক জানান, গত কয়েকদিন আগে নিহতের ছেলে সজিবের সাথে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কয়েকজন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এ তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ১৫/২০ জনের সংঘবদ্ধ অস্ত্রধারীরা আজকে সন্ধ্যার পর থেকে স্থানীয় চৌকিদার বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে সজিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে খুঁজতে থাকে। সজিবের বাবা বিএনপি নেতা হারুনুর রশীদ মোল্লা এ খবর পেয়ে ছেলেকে বাঁচানোর জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে রাত পৌনে ৮টার দিকে স্থানীয় চৌকিদার বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। যাত্রা পথে তিনি স্থানীয় তালতলা নামক স্থানে পৌঁছলে অস্ত্রধারীদের সামনে পড়ে যান। এ সময় অস্ত্রধারী রিয়াদ, নাফিস, ইউসুফসহ ১৫/২০জন সন্ত্রাসী তাকে গুলি করে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পেটের নাড়িভুঁড়ি বের করে হত্যা করে। এ সময় তার সাথে তার ভাতিজা রমিজ উদ্দিনকে (২৫) এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে সন্ত্রাসীরা। এসময় তার আরেক ভাই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। এরপর স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিএনপি নেতা মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করে। মারাত্মক আহত অবস্থায় তার ভাতিজা রমিজ নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, গিয়াস উদ্দিন নামে এক হামলাকারী ও আহত অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে সে কিভাবে আহত হয়েছে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছু জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, নিহত হারুনুর রশীদ মোল্লা ২০১১ সালে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে আন্ডারচর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন এবং ২০১৬ সালে তিনি ধানের শীষ প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, হারুনুর রশিদ মোল্লাকে নিহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। ওই ঘটনায় আরো দুইজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.আকরামুল হাসান হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।