মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ধীর গতির হতে শুরু করেছে আটলান্টিকের উভয় প্রান্তের আবহাওয়া নিয়ন্ত্রক উপসারীয় স্রোতের প্রবাহ, যা থেমে যেতে পারে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উপসাগলীয় স্রোতের লাইফ সাপোর্টে থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে যে, এটি থেমে গেলে নেমে আসবে বৈশি^ক বিপর্যয়।
এই সপ্তাহে নেচার অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ পত্রিকাতে প্রকাশিত একটি গবেষণা মতে, আটলান্টিক মেরিডিয়োনাল ওভারটার্নিং সার্কুলেশন (এএমওসি) নামে পরিচিত উপসাগরীয় স্রোতের গতি এবং স্থিতিশীলতা গত ১ শ’ বছরে প্রায় পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে এবং বর্তমানে এটি সম্পূর্ণভাবে থেমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। উপসাগরের শক্তিশালী স্রোত আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে উত্তর গোলার্ধে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং পৃথিবীর পরিবেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসাবে কাজ করে। এর দুর্বল সঞ্চালন পৃথিবর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে আর সক্ষম হচ্ছে না।
বৈশ্বিক জলবায়ুর জন্য উপসাগরীয় প্রবাহ কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝতে হলে, এটিকে আটলান্টিক মহাসাগরের পরিবাহক বেল্ট হিসাবে ভাবতে হবে। এটি মেক্সিকো উপসাগর থেকে উষ্ণ জল বহন করে পশ্চিম ইউরোপ পর্যন্ত নিয়ে যায় এবং সেই অঞ্চল থেকে ঠান্ডা, গভীর জল দক্ষিণে ফেরত পাঠায়।
এই স্রোত প্রতি সেকেন্ডে ২০ মিলিয়ন ঘনমিটার পানি সঞ্চালন করতে সক্ষম, যা আমাজন নদীর সঞ্চালন হারের প্রায় ১শ’ গুণ। সেই পানি স্থানান্তর করে উপসাগরীয় স্রোতের প্রবাহ যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপক‚ল, কানাডা, পশ্চিম ইউরোপ এবং আফ্রিকার পশ্চিম উপক‚লের আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে।
এই স্রোত শীতে জলভাগকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে এবং গ্রীষ্মে শীতল প্রভাব ফেলে, যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং চরম পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করতে সহায়তা করে, যা অন্যথায় আরও প্রতিকূল এবং কম নিয়ন্ত্রিত অবস্থার সুযোগে ঘটতে পারে।
এর অভাব যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল জুড়ে আশঙ্কাজনকভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ইউরোপে শীতলতম শীত এবং ক্রান্তীয় অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে বিধ্বংসী বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। এর অভাবে শুষ্ক মৌসুম ভারত, দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকার মতো জায়গায় অপরিহার্য ফসলের বড় ক্ষতি করতে পারে, যা বার্ষিক বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভর করে কোটি কোটি মানুষকে খাদ্য সরবরাহ করে।
গ্রীনল্যান্ডের চারপাশে বরফ গলে যাওয়ার কারণে এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উপসাগরীয় স্রোতের গতি শ্লথ হয়ে যাওয়ার মূল কারণ, যা হালকা, উষ্ণ ও মিঠা পানিকে সেই স্রোতে ঠেলে দিয়েছে যেখানে ঘন, ঠান্ডা ও লবণাক্ত পানি থাকার কথা। শীতল অঞ্চলে বরফের আস্তরগুলো গলে যাচ্ছে কারণ বিশ্ব ক্রমেই উষ্ণতর হচ্ছে।
গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে, উপসাগরীয় স্রোতের শক্তিশালী সঞ্চালনা রেধমে যেতে পরবর্তী দশক বা কয়েক শতাব্দী লাগতে পারে। কিন্তু যদি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য কোনও ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে এই বিপর্যয়টি সম্ভবত আরও তাড়াতাড়ি ঘটবে এবং বিশ^কে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে। সূত্র: ইন্টারনেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।