নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের ভিড়েও একপাশ আগলে রেখেছিলেন মোহাম্মদ নাঈম। চোখের পলকে সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, সোহানদের মতো সিনিয়রদের বিদায়েও ছিলেন অটল। সাবধানী ব্যাটিংয়ে দেখে-শুনে রান ওঠানোর কাজটি ঠিকই চালিয়ে নিচ্ছিলেন তরুন এই ওপেনার। তবে তার সেই লড়াই হার মানল শেষ পর্যন্ত।
এবারও শিকারির বেশে সেই সোয়াপসন। বারবারই ঠেকানোর কৌশল বুঝতে পেরেই কিনা এবার একটি কুইকারের আশ্রয় নেন এই স্পিনার। তাতেই ধরাশায়ী নাঈম। উইকেটের পেছনে ম্যাথু ওয়েডের হাতে ক্যাচ দিলে শেষ হয় তার ৩৬ বলে ২৮ রানের ইনিংস।
১৪.৩ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৮।
চোখের পলকে নেই সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-সোহান
সৌম্য সরকারের উইকেটের ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই তিন ধাক্কা বাংলাদেশ শিবিরে। আগের ওভারে সাকিব আল হাসানের বিদায়ে বিপদে পড়া দলের হাল ধরতে এসে এবার আর পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেই শোক কাটতে না কাটতে ফিরে গেছেন নুরুল হাসান সোহানও!
উইকেটে একদমই ছন্দ পাচ্ছিলেন না সাকিব। অনেকটা সময় ক্রিজে থেকেও খুঁজে পাচ্ছিলেন না টাইমিং। জশ হেইজেলউডের বলে স্কুপ করে বাউন্ডারিতে চার মেরে জেগে ওঠার ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত পারলেন না টিকতে। আউট হয়েছেন ২৬ বলে ১৫ রান করে।
বলটা আহামরি কিছু ছিল না। সাদামাটা বল যাকে বলে সেরকমই। তবে সেটিই কাল হলো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের জন্য। রাউন্ড দা উইকেটে শরীর তাক করে লেংথ বল করেন হেইজেলউড। লাফানো বলে জায়গা বানিয়ে কাট করার চেষ্টা করেন সাকিব। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে যায় কিপারের গ্লাভসে।
নাঈম ও সৌম্যকে উইকেটে একরকম বেঁধেই রাখেন অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা। রান তোলার পথই পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশের দুই ওপেনার। প্রথম তিন ওভারে তিন বাউন্ডারির পর টানা ৬ ওভারে একবারও সীমানা পার হয়নি বল। দশম ওভারে হেইজলউডকে স্কুপ করে চার মারেন সাকিব। ওই ওভারে আউটও হয়ে যান তিনি।
পরের ওভারের শেষ দুই বলে কোনো রান যোগ না করেই ফিরেছেন দুই টপ অর্ডার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আর উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সোহান। মিচেল সোয়াপসনের বলে দুজনেই পড়েন এলবিডব্লিউর ফাঁদে। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ৪৮। দলের ফিফটি আসে ১০ ওভার ১ বলে।
দলের এই ধ্বসের মাঝেও এক পাশ আগলে রেখেছেন মোহাম্মদ নাঈম। তরুণ এই বাঁ হাতি ওপেনার খেলছেন ২৮ রানে। ১৩ রান নিয়ে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন আফিফ হোসেন। ১৪ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৮।
ফের হতাশ করলেন সৌম্য
প্রথম ম্যাচে ১৫, দ্বিতীয় ম্যাচে ৯; তৃতীয় ম্যাচে ৩! অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের ওপেনিং সমস্যা যেন কাটছেই না! সেই হিসেবে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিং জুটি থেকে বেশ ভালো রানই এসেছে, ২৪।
তারপরই বিদায় নিয়েছেন সিরিজ জুড়েই নিজের ছায়া হয়ে থাকা সৌম্য সরকার। আজ শনিবার চব্বিশেও এদিন এই অভিজ্ঞ ওপেনারের অবদান ১০ বলে ৮!
৩ ওভারে ২২ রান, এমন দারুণ কোনো কিছু নয়। কিন্তু এই সিরিজের প্রেক্ষাপটে, এটিই অনেক। সিরিজে বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী জুটি বলে কথা! আগের তিন ম্যাচে শুরুর জুটি সেরা ছিল ১৫ রান।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হেইজেলউডকে দুটি বাউন্ডারি মারেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। সৌম্য সিরিজের প্রথম বাউন্ডারি পান অ্যাশটন টার্নারের বলে। তবে সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ থাকল না। বিভীষিকার মতো সিরিজ কাটানো সৌম্য সরকার আবারও আউট হলেন অল্পতেই।
জশ হেইজেলউডের রাউন্ড দ্য উইকেটে করা লেংথ বলটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে। সৌম্য সেখান থেকেই পুল করতে যান, কোনো পজিশনেই ছিলেন না তিনি। ব্যাটে লেগে বল উঠে যায় ওপরে। মিড অফে সহজ ক্যাচ নেন অ্যালেক্স কেয়ারি।
আগের তিন ম্যাচ মিলিয়ে ৪ রান করার পর এবার সৌম্য ফিরলেন ১০ বলে ৮ রান করে। তামিম ইকবাল নেই চোটের কারণে। তার অনুপস্থিতিতে মোহাম্মদ নাঈম আর সৌম্য সরকার তাদের ওপর বর্তানো দায়িত্বটা যেন ঠিকঠাক পালন করতেই পারছেন না। ফলে ইনিংসের শুরুতে টানা চতুর্থ ম্যাচের মতো বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ।
৭ ওভার শেষে ১ উইকটে হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৭। ১৮ রান নিয়ে খেলছেন আরেক ওপেনার নাঈম। তাকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসা সাকিব আল হাসান খেলছেন ৭ রান নিয়ে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। প্রত্যাশিতভাবে আবারও তিনি বেছে নিলেন ব্যাটিং।
দ্বিতীয় ম্যাচে যে উইকেটে খেলা হয়েছিল, সেই একই উইকেটে হচ্ছে এই ম্যাচ। বাংলাদেশ অধিনায়ক টস জয়ের পর বললেন, উইকেটের আচরণ আগের মতোই থাকবে বলে তার ধারণা। ব্যাটিংয়ে উন্নতি করে ভালো স্কোর গড়তে চান তারা।
হ্যাটট্রিক জয়ে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেছে প্রথম তিন ম্যাচেই। তবে বাংলাদেশের প্রাপ্তির অভিযান শেষ হয়নি। আপাতত চাওয়া আরও একটি ম্যাচ জয় এবং সেই জয়ের পথে ব্যাটিংয়ের উন্নতি।
প্রথম তিন ম্যাচ মূলত বোলারদের অসাধারণ পারফরম্যান্সেই জিতেছে বাংলাদেশ। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের কাছে আরেকটু বেশি কিছু চান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
উইনিং কম্বিনেশ ভাঙেনি বাংলাদেশ
আগের তিন ম্যাচ জয়ী দলে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের পর আরও এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে নেমেছে তারা একই একাদশ নিয়ে।
বাংলাদেশ একাদশ : সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হাসান, নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন, মেহেদি হাসান, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ।
আজও দুই পরিবর্তন অস্ট্রেলিয়ার
আগের ম্যাচের একাদশ থেকে দুটি পরিবর্তন এনেছে অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিং নিয়ে ভোগান্তি চলতে থাকলেও বদল এনেছে তারা বোলিং আক্রমণে। লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা পেয়েছেন বিশ্রাম, তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন লেগ স্পিনার মিচেল সোয়েপসন।
আগের ম্যাচে অভিষেকে হ্যাটট্রিক করা ন্যাথান এলিসকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে এক ম্যাচ পরই। তার বদলে একাদশে ফিরেছেন আরেক পেসার অ্যান্ড্রু টাই। ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক আছেন বিশ্রামেই।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ : বেন ম্যাকডারমট, অ্যালেক্স কেয়ারি, মিচেল মার্শ, মোইজেস হেনরিকেস, ম্যাথু ওয়েড (অধিনায়ক), অ্যাশটন টার্নার, অ্যাশটন অ্যাগার, ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান, মিচেল সোয়েপসন, অ্যান্ড্রু টাই, জশ হেইজেলউড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।