পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720362428](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সাংবাদিক মো. আব্দুর রহিম আর নেই। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে টিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ মেয়ে, ৪ ভাই ও ৫ বোনসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুর রহিমের মৃত্যুতে দৈনিক ইনকিলাব ভবন, জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার সহকর্মীরা ছুটে যান হাসপাতালে; নামাজে জানাজায় শরীক হন। গতকাল নামাজে জানাজার পর রাজধানীর শাহাজাহানপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
দেশের গণমানুষের মুখপত্র দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মো. আব্দুর রহিম কর্মরত ছিলেন। কর্মজীবনে ইনকিলাবের ভালোমন্দ, আদর্শনীতি ও চলার পথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছিলেন। নীতিবান সাংবাদিক হিসেবে সদালাপী এবং ব্যক্তিজীবনে ছিলেন বন্ধুবৎসল। পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিক হিসেবে দেশের ইসলামী ধারার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পীর-মাশায়েখ ও আলেম সমাজে ব্যাপক সমাদৃত ছিলেন।
আব্দুর রহিম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২২ জুলাই ধানমন্ডির ল্যাব এইড হাসপাতালের কোভিড-১৯ সেকশনে আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলেন। মরহুম আব্দুর রহিমের স্ত্রী ও ২ মেয়েও করোনায় আক্রান্ত। গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর খিলগাঁও তিলপাপাড়া জামে মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় তার শুভাকাক্সক্ষী, সহকর্মী, সাংবাদিক নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শরীক হন। রাতেই শাহজাহানপুর কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মরহুমের লাশ দাফনে সার্বিক সহযোগিতা করে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
সাংবাদিক আব্দুর রহিম নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার তুলাতলি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম আব্দুর রশিদ। কর্মজীবনে প্রথম তিনি রাজধানীর মগবাজার টিএন্ডটি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ মাওলানা এম এ মান্নানের (রহ.) অনুপ্রেরণায় আব্দুর রহিম দৈনিক ইনকিলাবে শুরুতেই সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন। বিগত কয়েক বছর যাবত আব্দুর রহিম জটিল রোগে ভুগছিলেন।
আব্দুর রহিমের পরিবারের পক্ষ থেকে তার রূহের মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সাংবাদিক আব্দুর রহিমের ইন্তেকালে ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। সাংবাদিক আব্দুর রহিমের ইন্তেকালে জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বিএফইউজে, ডিইউজে, ডিউজের ইনকিলাব ইউনিট এবং বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার রূহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। বাদ মাগরিব ইনকিলাব ভবনে দৈনিক ইনকিলাব ইউনিটের উদ্যোগে মরহুম আব্দুর রহিমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া কামনা করা হয়। সাংবাদিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।