বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের শূন্য পদে চৌকিদার নিয়োগে লাখ টাকার লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। আর এ পদে নিয়োগ পেতে ইতিমধ্যেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে অস্ত্র, অপহরণ ডাকাতিসহ বহু মামলার আসামী সাইফুল ইসলাম প্রকাশ মোঃ রাশেল নামের এক ব্যক্তি। যদিও বা স্থানীয়রা বলছে নিয়োগের আগেই সাইফুল ইসলাম মোঃ রাশেল প্রতিদিন পরিষদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো নিয়োগ হয়েছে কিনা জানেন না তারা। নিয়োগ পেতে চেয়ারম্যানসহ পরিষদ সংশ্লিষ্টদের মনে স্থান করে নিতে পরিষদের কাজকর্ম ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করায় ভাবিয়ে তুলেছে সচেতন মহলকে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন ব্যক্তি জানান, সাইফুল ইসলাম প্রকাশ রাশেল একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার নামে অস্ত্র, ডাকাতি, অপহরণসহ একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। অপহরণ পূর্বক মুক্তিপণ আদায়ের সময় সে আটকও হয়েছিল র্যাবের হাতে।
প্রাপ্ত তথ্য জানা যায়,ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার নুরুল আমিনকে দফাদার পদে পদোন্নতি দিয়ে শূন্য করা হয় চৌকিদার পদটি। এ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে গোপনে চেয়ারম্যানের পছন্দের লোক হিসেবে সাইফুল ইসলাম প্রকাশ মোঃ রাশেলকে চৌকিদার পদে নিয়োগ দিতে সহযোগিতা, সুপারিশ করে আসছে চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান। সাইফুল ইসলাম প্রকাশ রাশেল একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নতুন পাড়া গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, সাইফুল ইসলাম প্রকাশ মোঃ রাশেল এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে,তার একটি সক্রিয় ডাকাত দল আছে এলাকায়। তাদের মাধ্যমে পুরোভারুয়াখালীতে ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ, চিংড়ি ঘের ও লবণ মাঠ দখলসহ সরকারি জমি, প্যারাবন নিধন, গাছপালা উজাড় করা ছিল সাইফুল ইসলাম প্রকাশ রাশেল বাহিনীর মুল কাজ৷ সময়ের বিবর্তনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে সরকার বদল হলে সে রাতারাতি আওয়ামী লীগ সমর্থক বনে যায়।
কিন্তু না অপরাধমুলক কর্মকান্ড তার থামেনি। এর ধারাবাহিকতায় এক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় চৌফলদন্ডী থেকে র্যাবের হাতে আটক হয় ২০১৫ সালে৷ সে সময় সরকার সমর্থিত নেতাদের সুপারিশে পুলিশ ছেড়ে দিলেও পুনরায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাব। ঐ ঘটনায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে এসে আবারো অপরাধে জড়িয়ে পড়ে সে৷
তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় বর্তমানে দু'টি মামলার হদিস পাওয়া গেছে। যার এফআইআর নম্বর ৭৮ তারিখ ২০ অক্টোবর ১৩ ইং যার জিআর নং ৭৯১/১৩। অপরটি এফআইআর নম্বর ৬০ তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১২ ইং, জিআর নং ৮৭৬/১২। তাছাড়া আরো একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি ভারুয়া খালী করিরটেক এলাকায় এক ব্যবসায়ী সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাইফুল ইসলাম প্রকাশ রাশেলের সম্পৃক্ততা থাকলেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় মামলা থেকে সে বাদ পড়ে যায়।
প্রশ্ন দেখা দিয়েছে মাদকসহ হরেকরকম অপরাধে অভিযুক্ত এই সাইফুল ইসলাম প্রকাশ রাশেল পরিষদের চৌকিদার পদে নিয়োগ পেতে লাখ টাকা নিয়ে মরিয়া কেন?
সচেতন মহলের দাবী সাইফুল ইসলাম মোঃ রাশেল নামের এই ব্যক্তি চৌকিদার পদে নিয়োগ পেলে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হবে৷ তারা একজন ভালো চরিত্রের ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ নামের কাউকে চিনেন না বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।