Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আ.লীগের কর্মসূচিতে ওসির স্লোগান নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে যে প্রতিক্রিয়া

আব্দুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২১, ৮:২৮ এএম

আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে শরীতপুর সদর উপজেলা পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেনের দলীয় স্লোগান দেওয়া নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তার দেওয়া ওই স্লোগানের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তেই জন্ম দেয় ব্যাপক বিতর্কের। প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তার এই স্লোগান কাণ্ডকে কর্মচারী বিধিমালার স্পষ্টত লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন অনেকেই।

গত বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্বালন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে ওসি ওই স্লোগান দেন। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ২৭ সেকেন্ডের।

ভিডিওতে দেখা গেছে, মোমবাতি হাতে ওসি স্লোগান দিচ্ছেন, তাঁর সঙ্গে সাংসদ ইকবাল হোসেন ও আওয়ামী লীগের নেতারা কণ্ঠ মেলাচ্ছেন। স্লোগানে ওসি বলেছেন, ‘শুভ, শুভ, শুভদিন; শেখ কামালের জন্মদিন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। আমরা সবাই মুজিব সেনা, ভয় করি না বুলেট বোমা।’

ফেসবুকে ওসির কড়া সমালোচনা করে ইত্তাশাম উল হক মিম লিখেছেন, ‘‘সরকারি চাকুরী বিধিমালা, আচরণ বিধি না পড়েই প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা /কর্মচারী বনে গেছেন?? রাজনীতি করার এতই শখ থাকলে রিজাইন /ইস্তফা দিয়ে রাজনীতির মাঠে আসেন। সু স্বাগতম। প্রজাতন্ত্রের সেবক হইবেন এবং সর্বাবস্থায় সর্বসাধারণের সেবা করিতে সচেষ্ট থাকিবেন। ব্যস। নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হোন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পুরণ করুণ। চাটার দল ও চোরের দলকে তিনি একদম পছন্দ করেননি। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তা প্রকাশ্যে এমন কর্মকাণ্ড করতে পারেন না।’’

সৈয়দ মনিরুল করিম মনির লিখেছেন, ‘‘এরা সুবিধাবাদী। এরকম শ্লোগান দিতে দিতে একদিন হেলেনা জাহাঙ্গীর এর মত একটা লীগ তৈরী করে নিজের স্বার্থ হাসিলের চেস্টা করবে। তখন আবেগের সাথে ইমোশন যোগ করবে।’’

হতবাক হয়ে মৌসুমী লিখেছেন, ‘‘এতদিন যেনে ও শুনে আসছি,,,,যারা সরকারি চাকরি করে তারা প্রকাশ্যে কোন দলকে সাপোর্ট করে নাহ,,,,আর একবিংশ শতাব্দীতে এসে,,,,বাস্তব চিত্র অন্য কিছু শেখাচ্ছে।’’

নাঈম ইসলামের মন্তব্য, ‘‘জনগণের টাকায় সংসার চলে আর দেয় আওয়ামী লীগের স্লোগান!! রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এইভাবে দলীয় ক্যাডারদের নিয়োগ দিয়ে দেশটাতে পুরো আওয়ামী প্রশাসন বানিয়ে ফেলছে! এইজন্যই জনগণ সুষ্ঠু বিচার পায় না।’’

আবেদ ফয়সাল খন্দকার লিখেছেন, ‘‘তাকে কোন দলের চামচামি করার জন্য চাকরি দেওয়া হয় নাই। তাকে সংবিধান অবমাননার কারনে বহিষ্কার করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’’

মোঃ কাজী সিয়াম লিখেছেন, ‘‘আওয়ামী লীগ মানেই বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগের স্লোগান মানে বাংলাদেশের স্লোগান।রক্তে মিশে আছে আওয়ামী লীগ। যৌবনের প্রথম প্রেম আওয়ামী লীগ। সরকারি চাকুরি দিছে আওয়ামী লীগ।এখন চাকুরি পেয়ে, টাকার প্রাসাদ গড়ে কিভাবে সেই প্রথম প্রেমকে ভুলে যাবে। বলুন?’’

তাম্নান্না ফেরদৌস শিখা লিখেছেন, ‘‘ক্যাম্পাসের স্লোগান বয়রা যখন কোটায় চাকুরি পায় আবেগ ধরে রাখতে পারেনি। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায় যে সে আমার নিরাপত্তা দিবে কতটুকু!’’

মাসুম সরদার লিখেছেন, ‘‘এতে অবাকের কি আছে আওয়ামী লীগের লোক তাই শ্লোগান দিয়েছে আর যারা ভারতের তারা হটাৎ এমনি জয় হিন্দ মুখ থেকে বের হয়ে আসবে সত্য চাপা থাকে না।’’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সোশ্যাল মিডিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ