বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ফরাজী পাড়ায় নদী ভাঙ্গনে দুর্ভোগে পড়েছে শতাধিক বসত ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
গত প্রায় সপ্তাহব্যাপী অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে ঈদগাঁও নদীর বেড়িবাঁধ সিংহভাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় চরম আতংকে দিনাতিপাত করছে নদীতীরের বাসিন্দারা।
শনিবার (১ আগষ্ট ) বিকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ফরাজী পাড়া সিএনজি ষ্টেশন ও মুসলিম বাজার ব্রীজের আনুমানিক ১০০ গজ উত্তর দিকে নদী ভাঙ্গন চরম আকার ধারন করেছে। ওই স্থানে প্রায় ১৫০ ফুট বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে ধ্বসে গেছে। নদীর এই ভাঙ্গনে হুমকিতে পড়েছে শতাধিক বাড়ীঘর। বর্তমানে জনবসতির ৫০ গজের মধ্যে প্রবাহিত হচ্ছে নদীর মূলস্রোতধারা।
এতে ঝুঁকিতে পড়েছে ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষক মোজাম্মেল হক ফরাজী ও শিক্ষাবিদ মাষ্টার দিল মোহাম্মদ ফরাজীসহ আরো অনেকের বসত বাড়ী।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী কামরুল হাসান বায়েজীদ বলেন, বেড়িবাঁধ বিলীন হওয়ায় ভবিষ্যতে মাঝারি আকারের বন্যাতেই প্রলংয়করী নদী ভাঙ্গন হতে পারে।
আর তেমনটি হলে শতাধিক বসতবাড়ী, ধানের গোলা, সহস্রাধিক গবাদি পশু, পুকুরের মাছ ও সহায় সম্পদ ভেসে গিয়ে মানবেতর পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
সমাজসেবক শাহীন বলেন, অত্র পয়েন্টে ভাঙ্গন সৃষ্টি হলে বাহার ছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফরাজী পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, মরহুম জালাল আহমদ ফরাজী নূরানী মাদ্রাসা ও হেফজখানা ও পূর্ব ফরাজী পাড়া জামে মসজিদসহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সিএনজি চালক মনজুর বলেন, উক্ত স্থান তুলনামূলক নীচু হওয়ায় নদী ভাঙ্গন হলে নদীর গতিপথ পাল্টে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এতে ঈদগাঁও-ফরাজী পাড়া সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে ঈদগাঁও বাজারের সাথে ফরাজী পাড়া-পোকখালীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার নূরুল আলম বলেন, ভাঙ্গনের মুখে থাকা উপরোক্ত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
কয়েকদিনের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের টীম উক্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন বলেও জানান তিনি।
জনগনের জানমাল রক্ষায় উপরোক্ত স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ, ব্লক প্রতিস্থাপন, গাইড ওয়াল নির্মাণ ও জিও ব্যাগ ফেলে কার্যকর নদীশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।