Inqilab Logo

রোববার ১৩ অক্টােবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুড়িগ্রামে নদী ভাঙনে গৃহহীন আরো শতাধিক পরিবার

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২০, ৩:৩৪ পিএম

কুড়িগ্রামে আবারো শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। গত ৪ দিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙনের শিকার হয়ে আরো শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। 

শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রামে গিয়ে দেখা যায় ধরলার তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়েছে এই পাড়ে। লোকজন ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছিলেন। ভাঙন কবলিতদের চোখে মুখে দিশেহারা অবস্থা। দীর্ঘদিনের বসতভিটা গিলে খাচ্ছে রাক্ষুসি ধরলা নদী। জমিজমাও খেয়ে ফেলেছে। এখন কোথায় যাবে তারা। এনিয়ে আশংকা আর হতাশায় শূন্য চোখে তাকিয়ে আছে। কিছুক্ষণ পরপর দীর্ঘশ্বাস আর আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠছে পরিবেশ।

দুটি নৌকায় গৃহস্থালী মালামাল তুলছেন নুর হোসেন ও তার পরিবার। গতকাল ঘরবাড়ি সরিয়েছিলেন। আজ বাকী জিনিষপত্র নিয়ে যাচ্ছেন। কোথায় ঠাঁই নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, রাস্তাত যায়া উঠছি। সে জায়গাতেও মানুষ বাঁধা দেয়।

এমন অবস্থা হয়েছে নুরুন্নবী, আলম মিয়া, এমদাদুল, নজীর হোসেন, নজরুল, ছলিম উদ্দীন ও বিধবা কছিমন বেওয়ার। সবাই এখন গৃহহীন। নিজেদের এবং সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আতংকিত।

এরই মধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিকল্প বাঁধটির ৪০০ মিটার অংশ বিলীন হয়ে গেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবার পর ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে গ্রামবাসী। এখন প্রচন্ড ঘূর্ণি স্রোতে ভাঙছে পুরো গ্রাম জুড়ে । অনেকেই ঘরবাড়ি সরানোর মতো অর্থ জোগার করতে পাচ্ছেননা। আবার মাথা গোঁজার মতো ঠাঁই না থাকায় প্রায় সবাই বাঁধের রাস্তার উপর মালামাল স্তূপ করে রেখে একটি ছাপড়া তুলে আছেন।

বিষয়টি নিয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানান, সারডোবের ভাঙন প্রতিরোধে আপাতত বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। পানি নেমে গেলে ৮০০ মিটার অংশ স্থায়ী তীর প্রতিরক্ষার কাজ করা হবে। তখন আর ভাঙনের সমস্যা থাকবেনা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নদী ভাঙ্গন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ