Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বগুড়ায় যমুনায় পানি কমলেও বেড়েছে নদী ভাঙ্গন শুরু..

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২০, ৭:৩৯ পিএম

বগুড়া বগুড়ায় যমুনার পানি কমা শুরু করলেও শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন ।
ভাঙ্গন বেড়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের অনেক মানুষই ঘড়বাড়ী ভেঙ্গে নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। তারপরও কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়েই বসে আছে দুর্গম চরে। ভাঙ্গন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের। একদিকে খাবার নেই, ফসল নষ্ঠ হয়ে গেছে, অন্যদিকে যমুনার ভাঙ্গন!

এমন দিশেহারা অবস্থার শিকার বোহাইল চরের আজম আলী জানান, এবার গত বছরের চেয়ে চর এলাকায় ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে বেশী। সারিয়াকান্দির বোহাইল, আওলাকান্দী এরাকা বেশী ভাঙ্গছে বলে জানান তিনি। আযম জানান, ভাঙ্গনের কারনে অনেকেই অন্য জায়গায় চলে গেছে।
ধুনটের বৈশাখী চরের আনোয়ার পারভেজ জানান, বৈশাখী চরে ৬ শ পরিবার বাস করতো। গত বছর থেকে ভাঙ্গতে শুরু করেছে চরটি। এবার ভাঙ্গনের তীব্রতা খুবই বেশী। বৈশাখীর চার ভাগের তিন ভাগ চলে গেছে যমুনা গর্ভে। কেউ কেউ আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারনে পরিবার নিয়ে অবস্থান করছে। চরের নিম্ন মাধ্যমিক, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় ভেঙ্গে অন্যত্র নিয়ে আসা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এখন যমুনার সারিয়াকান্দী পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৭ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ যমুনার তীর থেকে দুরে তাই ভাঙ্গনের কবলে পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে পানি কমলে সে ক্ষেত্রে চরে ভাঙ্গন হয়। সেই ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে কিছু এলাকা।

বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক জানান, বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দী ও ধুনট উপজেলার ২৪ টি ইউনিয়নের ৩২,৯১১ পরিবারের ১লাখ ৩৩ হাজার ১০ জন মানুষ বন্যার কারনে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের ৬৬০ মেঃ টন চাল, ১৮ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও গো খাদ্যের জন্য ৯ লাখ এবং শিশুদের জন্য ৪ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নদী ভাঙ্গন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ