২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
সুষম খাদ্যের অভাবে যেমন রোগবালাই দেখা দিতে পারে, তেমনি অতি ভোজন রোগবালাই ডেকে আনতে পারে। ভোজন বিলাসী কেউ যদি প্রতিদিন অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করে তাহলে তা এক সময় বিপদ ডেকে আনবে। কারণ, আমাদের পাকস্থলী সব সময় অম্ল বা এসিড নিঃসরণ করে। এটা আমাদের গৃহীত খাদ্যদ্রব্য হজমে সহায়ক। এই এসিড আমাদের গৃহীত খাদ্যদ্রব্য ভেঙে চূর্ণ-বির্চূণ করে হজম করে। কিন্তু এটা যখন মাত্রাতিরিক্ত তৈরি হয় তখন তাকে এসিডিটি বা অম্লতা বলে। অর্জীর্ণ, বুক জ্বালাপোড়া ও আলসার হয় এমন অবস্থা চলতে থাকলে। ডায়েটিশিয়ানরা এ জন্য খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। অসময়, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস পরিত্যাগ করে নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া-দাওয়া ও নাশতা করুন তাহলে পেটে অম্লতা হবে না। অস্বস্তিতে ভুগবেন না।
কী কী খেলে অম্লতা থেকে দূরে থাকা যায়?
* প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি এলাচি কলা এক গ্লাস চাল-পানি পান করুন।
* চিনি ছাড়া ঠান্ডা দুধ পান করলে তাৎক্ষণিকভাবে অম্লতা কমে যায়। ঠান্ডা দুধে বুক জ্বালাপোড়া কমে যায় এবং পাকস্থলীর অতিরিক্ত এসিড স্বাভাবিক হয়।
* প্রতিদিন ফলমূল ও ফলমূলের নির্যাস পান করুন।
* প্রতিদিন সবুজ পাতাবিশিষ্ট শাকসবজি খান।
* প্রতিদিন এক চামচ মধু খান। এটা জীবাণুনাশক এবং পাকস্থলীর নানা সমস্যা সমাধান করে।
* সেদ্ধ শাকসবজি হজমের জন্য সহজ এবং পাকস্থলী স্বাভাবিক কাজ করে।
* দৈনিক অল্প দই বা দইয়ের শরবত পান করুন।
* দৈনিক সেদ্ধ পানি ঠান্ডা করে পান করলে পেটে অম্লতা হয় না। বুক ও গলা জ্বালাপোড়া করে না। হজম হয় স্বাভাবিকভাবে। অম্লতা হয় না।
কোন কোন খাবারে অম্লতা সৃষ্টি হয়-
* সর্বপ্রকার গরমমসলা যুক্ত খাবার। গরমমসলা পাকস্থলী ও পাকস্থলীর লাইন গরম করে এসিডিটি হয়।
* বেশি তেল ও চর্বিযুক্ত ভাজাপোড়া খাবার এবং বেশি চিনিযুক্ত খাদ্যে এসিড হয়।
* অতিরিক্ত বাঁধাকপি, ব্রকলি ও ফুলকপি পেট গরম করে। এসিডিটি হয়।
* মাত্রাতিরিক্ত চা ও কফি এসিডিটি তৈরি করে।
* খাসি, গরু, মহিষ ও শূকরের মাংস অ্যাসিডিটি তৈরি করে। এগুলো হজমে পাকস্থলীকে অধিক শক্তি প্রয়োগ করতে হয়।
* বেশি বেশি চকোলেট (দুধের তৈরি বা কালো) পেটের অম্লতা তৈরি করে।
* সর্বপ্রকার কোলা পেটে গেলে পাকস্থলীতে বুদবুদ তৈরি হয়ে এসিড হয়।
তাই এগুলো বর্জনীয়। তাই পরিমিত ও নিয়মিত আহার, শারীরিক ব্যায়াম, বিশ্রাম, নিদ্রা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সুস্বাস্থ্যের পূর্বশর্ত। অতিরিক্ত তেল, চর্বি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
ডা: মাও: লোকমান হেকিম
শিক্ষক-কলামিস্ট, মোবা: ০১৭১৬ ২৭০১২০
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।