গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাটি ভরাট, বিতর্কিত জমি দখল-বেদখল ও ঠিকাদারদের ভয় প্রদর্শনে গুলি করার মতো কাজ করা এক সন্ত্রাসী গ্রুপের তিনজনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন- মো. সাহজামান ওরফে বাবু, মো. দুলাল প্যাদা ওরফে দুলাল ও মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে সুজন। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি রিভলবার, একটি পিস্তল ও তিন হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার একে এম হাফিজ আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন সময় চুক্তির মাধ্যমে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করতো। গত ৩০ মার্চ ক্যান্টনমেন্ট এলাকাতে ঠিকাদার আরব আলীর ওপর হামলা চালায় এসব সন্ত্রাসীরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ওই ঠিকাদারকে সন্ত্রাসীরা চার রাউন্ড গুলি করে। কিন্তু ঠিকাদার কৌশলে পিস্তল থাবা দেওয়ায় বুকে গুলি না লেগে পায়ে লাগে। বাকিগুলো মিস হয়। পরে অন্য লোকজন এসে তাকে রক্ষা করে। আসামিরা কোথাও গুলির ঘটনা ঘটালেই তারা দুর্গম এলাকায় পালিয়ে থাকে। এক্ষেত্রেও একই কাজ করে তারা। কেউ চাঁদপুর ও কেউ কালশীতে অবস্থান করে। সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে জমি দখল ও চাঁদাবাজির বিষয়ে তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে ডিবি। এসব ঘটনা ঘটলে ডিবি ছাড় দেবে না। কোথাও এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে থানায় জানাবেন। ঢাকায় এ ধরনের ঘটনার পর ঢাকার বাইরে পালিয়ে গেলেও কেউ রক্ষা পাবে না। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা হয়েছে। গ্রেফতারদের পৃষ্ঠপোষক কারা জানতে চাইলে ডিবির প্রধান বলেন, বিদেশে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসী ইব্রাহীম ও যুবরাজের তত্ত্বাবধানে তারা কাজ করতো বলে জানিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও এ চক্রের আরও আট থেকে ১০ জনের নামের তালিকা পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।