বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনার এক কলেজ ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও মোবাইলে ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে বাগেরহাটের মোংলা থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা হওয়ার পর আজ বুধবার বিকেলে পুলিশ হেফাজতে কলেজ ছাত্রীটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পর্ন হয়েছে। মামলার অভিযুক্ত মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কালীকাবাড়ী গ্রামের মৃত পুলিন বিশ্বাসের ছেলে সুজয় (৩৫) বিশ্বাসকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ জানায়, খুলনার একটি ডিগ্রি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ওই কলেজছাত্রীর বাড়ীর পাশেই আসামি সুজয় বিশ্বাসের বাড়ী হওয়ার সুবাদে এবং পারিবারিক সম্পর্ক থাকায় প্রায়ই তাদের বাড়ীতে আসা-যাওয়া করতো। প্রায় তিন মাস ধরে আসামি তাকে বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মোবাইল ফোনে হুমকি দিত।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২০ জুন দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে নিজ বাড়িতে টিভি দেখার সময় হঠাৎ ঘরে ঢোকে সুজয় বিশ্বাস। বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের দরজা বন্ধ করে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। ধর্ষণ শেষে এ ঘটনা কাউকে বললে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় (ফেসবুকে) ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয় সুজয় বিশ্বাস। পরবর্তীতে পুনরায় তার সাথে এ অনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার প্রস্তাব দেয় সুজয়। এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করে আসছিল। কয়েক দিন আগে তাকে পুনরায় ধর্ষণ করতে চায় সুজয়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করে, তার কু-প্রস্তাবে পুনরায় রাজি না হওয়ায় পূর্বের ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও এলাকার বিভিন্ন লোকের মোবাইল ফোনে সরবরাহ করে সুজয় বিশ্বাস। তার সাথে সম্পর্ক না রাখলে ভিডিও ইন্টারনেটে ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় কলেজছাত্রীর মোবাইল ফোনে।
বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে মঙ্গলবার রাতে মোংলা থানায় নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্রী বাদী হয়ে সুজয় বিশ্বাসের (৩৫) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, চাঁদপাই ইউনিয়নের কালীকাবাড়ী এলাকায় কলেজছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে এবং ওই কলেজছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করে তার পরিবারের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।