Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জনগণ নাগরিক অধিকার কতটা ভোগ করছে

ড. মো. কামরুজ্জামান | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কিছু উপাদান অপরিহার্য। একেই মৌলিক চাহিদা বলে। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে এই চাহিদারও পরিবর্তন হতে পারে। প্রাচীনকালে খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান- এ তিনটিকে মৌলিক চাহিদা বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে সেটির সাথে যোগ হয়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য। বর্তমানে মানসিক প্রশান্তিকেও মৌলিক চাহিদার অন্তর্ভুক্ত মনে করা হয়। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সাংবিধানিক চাহিদা পাঁচটি। সেগুলো হলো: অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ এর (ক) অনুচ্ছেদে এটা লিপিবদ্ধ আছে। একই অনুচ্ছেদে আরো কিছু চাহিদার কথা বর্ণিত হয়েছে। (খ)তে কর্মের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। (গ)তে যুক্তিসংগত বিশ্রাম, বিনোদন ও অবকাশের অধিকারের কথা উল্লেখ রয়েছে। (ঘ)তে বেকারত্ব, পঙ্গুত্বজনিত অসুস্থতা, মাতৃপিতৃহীনতা, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা কিংবা অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত আয়ত্তাতীত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য লাভের অধিকারের কথা লিপিবদ্ধ রয়েছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করে, তাদের মৌলিক অধিকার পাঁচটি। কিন্তু সংবিধানে যেটা লেখা আছে সেটা চাহিদা হিসেবে; অধিকার হিসেবে নয়। অবশ্য এ চাহিদাগুলোকে বিশেষজ্ঞগণ অধিকারের অন্তর্ভুক্তই মনে করেন। তবে এই চাহিদাগুলো তখনই অধিকার হিসেবে বিবেচিত হবে যখন কোনো নাগরিকের প্রাণ হুমকির সম্মুখীন হবে। বাংলাদেশ সংবিধানের তৃতীয় ভাগে নাগরিকের মৌলিক অধিকারসমূহ আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধানের ২৭ থেকে ৪৪ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত মোট ১৮টি মৌলিক অধিকারের কথা উল্লেখ আছে। মানুষের বেঁচে থাকতে এগুলো খুবই অত্যাবশ্যকীয়।

বাসস্থানের নিশ্চয়তা পাওয়া বাংলাদেশের নাগরিকের একটি মৌলিক সাংবিধানিক চাহিদা ও অধিকার। কিন্তু দেশে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা মোটেই কম নয়। দেশের ১৬টি জেলার মানুষ নদী ভাঙ্গনের শিকার। এ জেলাগুলোতে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের স্থায়ী কোনো বসতবাড়ি নাই। প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা আশ্রয় নেয় আশ্রয়কেন্দ্রে। এদের মধ্যে অনেকে বস্তিতে অবস্থান করে। কেউ ঝুপড়ি বেঁধে বেড়িবাঁধের উপর আশ্রয় নেয়। ২০২০ সালের প্রথম ছয় মাসে ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয় বলে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ। বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এক নম্বরে ভারত।

খাদ্য বাংলাদেশের নাগরিকদের এক নম্বর সাংবিধানিক চাহিদা ও মৌলিক অধিকার হলেও নিরন্ন মানুষের সংখ্যা দেশে ২০ লাখের উপরে। ছিন্নমূল এ সব মানুষের বসবাস রাজধানীর বিভিন্ন বস্তিতে। রেলওয়ে স্টেশন ও ওভারব্রিজ তাদের নিত্যদিনের বিছানা। রাস্তার পাশে পলিথিন কিংবা বস্তায় ঘেরা ঘরে তাদের বসবাস। সেখানেই চলে তাদের রান্না। সেখানেই তাদের খাওয়া ও ঘুম। সেখানেই তাদের দিনের শুরু ও শেষ। লকডাউন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা তাদের কাছে উপহাস ছাড়া কিছুই নয়। ভিক্ষাবৃত্তিই তাদের একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু লকডাউনে মানুষ বের হয় না। তাই ভিক্ষাও পায় না। ফলে ভাগ্যে তাদের খাবারও জোটে না। ভাগ্যবিড়ম্বিত এ মানুষগুলো তাই ত্রাণের অপেক্ষায় বসে থাকে। কিন্তু এবার লকডাউনে ত্রাণের কোনো ব্যবস্থা নাই। তাদের জঠরজ্বালা মেটাবারও কোনো উপায় নাই। তাদের মধ্যে যারা রিকশা চালায় তাদের অবস্থা খুবই করুণ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রিকশা চালানো নিষেধ। বের করলেই বাধা দেয়া হয়, এমনকি রিকশা ভেঙ্গেও দেয়া হয়েছে।
উল্লেখিত শ্রেণীদ্বয় বাংলাদেশে হতদরিদ্রের আওতাভুক্ত। তাদের অন্ন ও বাসস্থানের পাশাপাশি বস্ত্রের অধিকারটুকুও নাই। শীতের কাপড় থেকে তারা বঞ্চিত। কনকনে শীতে তারা রাস্তার পাশে শুয়ে থাকে। রেল স্টেশন অথবা ওভারব্রিজ হয় তাদের বিছানা। বস্তায় কিংবা পলিথিন ঘেরা ঘরে তারা জড়োসড়ো হয়ে পড়ে থাকে। তাদের দেখার কেউ নেই। এ আলোচনার বাইরে গ্রামের অগণিত গরিবদের কথা বাদই দিলাম। শহরের বড়লোক মানুষেরা গ্রামের অভাবী মানুষের কথা কেনই বা ভাববে?

নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের আরেকটি হলো শিক্ষা। বাংলাদেশের শিক্ষার হার ৭৪ দশমিক ৭০%। তবে উইকিপিডিয়ার ভাষ্যমতে, বাংলাদেশের শিক্ষিতের হার ৫৭%। বাকি প্রায় ৪৩ শতাংশই নিরক্ষর। শিক্ষিতদের ভিতরে আবার এমনও আছেন যারা শুধু নিজের নামটাই লিখতে পারেন। বই পড়তে পারেন না। পারেন না পত্রিকা পড়তে। এসমস্ত ব্যক্তিবর্গকে বাংলাদেশে শিক্ষিত বলে আদমশুমারিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। করোনায় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। এমনিতেই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কর্মমুখী নয়। যা আছে তাও করোনায় ধ্বংস করে দিতে বসেছে। করোনার ধাক্কায় ৫ কোটি শিক্ষার্থীর জীবন আজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দেশবাসী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। অভিভাবকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষার পাশাপাশি চিকিৎসা নাগরিকের মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার দৈন্যদশা ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। এমনিতেই এ সেক্টরে রয়েছে নানামুখী সংকট। তদুপরি দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও কেলেঙ্কারি ইত্যাদি চিকিৎসাসেবাকে বেহাল দশায় পরিণত করেছে। বাংলাদেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৩৭টি। বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৭০টি। দেশের সরকারি হাসপাতাল ৬৫৪টি। ডাক্তার সংখ্যা ২৫ হাজার ৬১৫ জন। শয্যা সংখ্যা ৫১ হাজার ৩১৬টি। চিকিৎসক, সেবিকা ও নানা পর্যায়ের হাসপাতালকর্মী মিলে মোট জনবল ৭৮ হাজার ৩০০ জন। বেসরকারি হাসপাতাল সংখ্যা ৫০৫৫টি। শয্যা সংখ্যা ৯০ হাজার ৫৮৭টি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৬ লাখ। সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের ১ হাজার ১৫৯ জনের জন্য রয়েছে মাত্র একটি শয্যা। দেশে নিবন্ধিত চিকিৎসক সংখ্যা ৯৩ হাজার ৩৫৮ জন। আর নিবন্ধিত দন্তচিকিৎসক সংখ্যা ৯ হাজার ৫৬৯ জন। ২ হাজার ৫০০ জনের জন্য দেশে রয়েছে মাত্র একজন ডাক্তার। এত সীমাবদ্ধতা ও সংকটের পরেও একজন ডাক্তার সরকারি কর্তব্য পালন শেষে ব্যক্তিগত চেম্বার করেন। মধ্যম মানের একজন ডাক্তার দিনে কমপক্ষে ২০ থেকে ৫০ জন রোগী দেখে থাকেন। ক্ষেত্রবিশেষ ৮০ জন কিংবা ১০০ জনও হতে পারে। আর একজন ডাক্তার সর্বনিম্ন ফি নেন ৫০০ টাকা। এধরনের একজন ডাক্তার একজন রোগীকে ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় দেন। যদি তিনি পাঁচ মিনিট সময় দেন তাহলে ঘণ্টায় তিনি ১২ জন রোগী দেখতে পারেন। আর এক ঘণ্টায় তার আয় হবে ৬০০০ টাকা। সরকারি দায়িত্ব পালন শেষে ডাক্তার যদি দিনে ৫ ঘণ্টা চেম্বার করেন তাহলে এ সময় তিনি অন্যান্য কমিশন ছাড়াই আয় করবেন ৩০০০০ টাকা। মাসে আয় করবেন ৯ লাখ টাকা। গত ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট। যেখানে স্বাস্থ্যখাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা।

বাংলাদেশের এ বিশাল জনগোষ্ঠীর ২১.৪% ভাগ মানুষ শহরে বাস করে। বাকি ৭৮.৬% ভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে। দেশের সিংহভাগ মানুষ মফস্বলে বাস করলেও এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থায় চলছে বেহাল দশা। অনেক উপজেলা হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি নাই। চিকিৎসকগণ কর্মস্থলে থাকেন না। রয়েছে জনবল সংকট। চিকিৎসকগণ অধিকাংশ সময়ে কর্মস্থলের বাইরে থাকেন। কর্মস্থলে থাকলেও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেন না। কোনো হাসপাতালে যদি পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি থাকেও উদ্দেশ্যমূলকভাবে সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় না। নেয়া হয় না অপারেশনের কোনো ব্যবস্থা ও উদ্যোগ। রোগীদেরকে পাঠিয়ে দেয়া হয় পাশের কোনো ক্লিনিকে। সিভিল সার্জনগণও জেলা স্বাস্থ্যসেবার যথার্থ মনিটরিং করেন না। এতদিনে কোনো বিপর্যয় আসেনি বিধায় জনগণ বুঝতে পারেনি। কিন্তু করোনা মহামারী দেশের স্বাস্থ্যখাতের বেহাল দশা জনসম্মুখে প্রকাশ করে দিয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রতিটি উপজেলা হাসপাতালে রয়েছে। কিন্তু রোগীদেরকে সে চিকিৎসা দেয়া হয় না। রোগীদেরকে বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। এটা বলেই কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব এড়িয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ অবহেলা করে। ফলে উক্ত রোগী যথেচ্ছা ঘোরাফেরা করে। অথচ এটা একটি মহামারী। এ জাতীয় অসংখ্য অবহেলার কারণে বাংলাদেশের করোনায় আক্রান্তের হার বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী। অথচ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন যেটা দরকার সেটা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিচ্ছেন। প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের সরবরাহ হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ে বাস্তবায়িত না হওয়ায় দেখা দিচ্ছে দুরাবস্থা। মনে রাখা দরকার, এটা একটা মহামারী। দেশের সর্বস্তরে চেইন অব কমান্ড না থাকলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে। সুতরাং তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বস্তরে চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে হবে। হতে হবে আন্তরিক ও মানবিক। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সরকারের সকল অর্গানকে নিঃস্বার্থ ভালবাসতে হবে। তাহলে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্যসেবাকে এগিয়ে নিতে নিম্নোক্ত কাজগুলো করা যেতে পারে:
১. ডাক্তারদেরকে দেশপ্রেমিক ও মানবপ্রেমিক হতে হবে। মানবতাবোধে উজ্জীবিত হতে হবে।
২. সমমানের অন্যান্য বিসিএস ক্যাডার যেমন- এসিল্যান্ড মফস্বলে অবস্থান করতে পারলে ডাক্তারকেও সেটা পারতে হবে।
৩. উপজেলা নির্বাহী অফিসার একজন সিনিয়র ব্যক্তিত্ব। তিনি মফস্বলে অবস্থান করতে পারলে একজন ডাক্তারকেও পারতে হবে।
৪. স্থানীয়জনপ্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট এলাকার হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট নিলে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া সম্ভব। তাই জাতীয় নেতৃবৃন্দকে দেশে ট্রিটমেন্ট নিতে হবে। টাকার গরমে বিদেশে যাওয়া বন্ধ করতে হবে।
৫. বড় বড় শিল্পপতি মিলে দেশে বিশ্বমানের কয়েকটি হাসপাতাল নির্মাণ করতে পারেন।
পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশ সবেমাত্র এলডিসি অতিক্রম করলেও দেশে অভাবী মানুষের সংখ্যা কম নয়। করোনায় সে সংখ্যা আরো বেড়ে গিয়েছে। আমাদের স্বল্প পুঁজি দিয়েই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আর এজন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন নিঃস্বার্থ দেশপ্রেম, মানবপ্রেম ও মানবতাবোধ।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
[email protected]



 

Show all comments
  • মোঃ আকতার হোসেন মীর ২৯ জুলাই, ২০২১, ৩:৪৫ এএম says : 0
    এই সব কথা শুধু লেখার জন্য লেখা । সাধারণ মানুষের আবার আধিকার ।
    Total Reply(0) Reply
  • Dadhack ২৯ জুলাই, ২০২১, ৫:০৬ পিএম says : 0
    আল্লাহ মানুষকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং ফেরেশতারা মানুষকে সেজদা করেছে আজকে আমাদের দেশে আমাদের ট্যাক্সের টাকায় প্রধানমন্ত্রী থেকে পিয়ন পর্যন্ত বেতন পায় অথচ আমাদের দেশে যারা গরীব যারা বিধবা প্রতিবন্ধী বয়স্ক তারা ভাতা পায় মাত্র 500 টাকা থেকে 650 টাকা.. এখন থেকে প্রধানমন্ত্রী থেকে একটা প্রিয়ন পর্যন্ত আমরা তাদেরকে বেতন দিব 500 থেকে 650 টাকা তাহলে দেখব তারা কিভাবে চলে এই টাকা দিয়ে. এইভাবে মানুষকে চরম অপমান করার অধিকার নাই আজকে ইউরোপিয়ান কান্ট্রি গুলোতে দেখলে দেখা যায় কে দরিদ্র কে বড়লোক বোঝা যায় না কেননা তারা সবাই মাছ মাংস দুধ ডিম ফলমূল খেতে পারে এবং যাদের চাকরি নাই সরকার তাদেরকে বাসা দেয়, বেকার ভাতা দেয় ওষুধ ফ্রী, সব সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ফ্রি, যারা অসুস্থ প্রতিবন্ধী তাদেরকে বেশি ভাতা দেওয়া হয় তাদের যদি আত্মীয়-স্বজন দেখার মত না থাকে তাহলে সরকার তাদেরকে দেখাশোনা করে...........ওদেশে সরকাররা মানুষের জন্য আরো কত কি করে এটা বলতে গেলে একটা বই হয়ে যাবে ............. আর আমাদের দেশের সরকার আমাদের ট্যাক্সের টাকায় রাজা রানীর মত থাকে কীভাবে আমাদের মাথায় বাড়ি দিয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লুটপাট করে বিদেশে পাচার করবে কিভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকবে এবং টিকে থাকার জন্য কিভাবে মানুষজনদের কে হত্যা করবে খুন করবে গুণ করবে মিথ্যা কেস দিয়ে জেলের মধ্যে ভরে রাখবে বছরের পর বছর.... এটাই হচ্ছে এদের কাজ...
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নাগরিক অধিকার
আরও পড়ুন