Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে যা বললেন মমতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০২১, ৬:২০ পিএম

পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে এখনও প্রায় তিন বছর বাকি। তবে এখন থেকেই বিজেপি বিরোধী জোটের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়েও একই বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বলেন, ‘বিজেপি-কে হারাতে সবাইকে একজোট হয়ে লড়তে হবে। আমি একা কিছু করতে পারব না। আমি লিডার নই, ক্যাডারও নই। আমি স্ট্রিট ফাইটার। একসঙ্গে লড়াই করতে হবে সকলকে।’ সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বিরোধী ঐক্য এবং পেগাসাস নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘বিরোধী ঐক্য, পেগাসাস এবং কোভিড নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে।’ ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আশা জোগাতে ‘হোপ টোয়েন্টি ফোর‘ বার্তাও দেন মমতা।

বিরোধী জোট গড়তে আলোচনায় প্রস্তুত বলে ২১-এর মঞ্চ থেকেই জাতীয় নেতা-নেত্রীদের বার্তা দিয়েছিলেন মমতা। তার পই সোমবার পাঁচ দিনের দিল্লি সফরে বেরিয়ে পড়েন তিনি। বুধবার ১০ নম্বর জনপথে সোনিয়ার বাসভবনে পৌঁছন মমতা। সেখানে স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় দুই নেত্রীর মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধীও।

সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের আগে মঙ্গলবার প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমল এবং আনন্দ শর্মার সঙ্গেও দফায় দফায় কথা হয় মমতার। সাউথ অ্যাভিনিউয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে গিয়ে মমতার সঙ্গে দেখা করেন কমলনাথ এবং আনন্দ। মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে, দু’জনেই জোট নিয়ে আশা প্রকাশ করেছিলেন। ২৪-এর আগেই জোট গড়ে ফেলা সম্ভব কি না, তা নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছিলেন কমল।

বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর বুধবারই প্রথম সোনিয়ার সঙ্গে মুখোমুখি হলেন মমতা। তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দু’পক্ষের মধ্যে তৎপরতা চোখে পড়ছিল। এমনকি এই বৈঠকেই ২০২১-এর বিজেপি বিরোধী জোটে মৌখিক সিলমোহর পড়ে যেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে মমতার সমীকরণ আলোচনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কি না, সেই আশঙ্কাও ছিল। তাই কমলের সঙ্গে মমতার সাক্ষাতের পর আশার আলো দেখেছিল বিজেপি বিরোধী শিবির। কারণ কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরেও কমলের মধ্যস্থতাতেই ২০০১ সালে তৃণমূল এবং কংগ্রেস জোট বেঁধে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় লড়াই করতে নামে। সূত্র : এবিপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ