মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. মুয়ীদ ইউসুফ শনিবার ভারতীয় সাংবাদিক করণ থাপারকে দেয়া দ্বিতীয় সাক্ষাত্কারে জোহর টাউন বিস্ফোরণে ভারতের আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে এবং এতে ‘র’ লিংকের বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছেন। ভারত কর্তৃক অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের স্থলভাগের শান্তিময় পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য দৃঢ় ও সঠিক পদক্ষেপ হিসেবে ৫ আগস্ট ২০১৯ এর পূর্বের অবস্থায় ফিরে না আসলে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতার অপবাদ দেয়া বন্ধ করা না হলে আলোচনার কোনও অগ্রগতিই হতে পারে না। -কাশ্মীর মিডিয়া সাভিস (কেএমএস)
কাশ্মীরের বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরে ড. মুয়ীদ ইউসুফ বলেন, পাকিস্তানের সরকার এবং জনগণ কাশ্মীরের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে, যতক্ষণ না কাশ্মিরীরা ইউএনএসসি-এর রেজোলিউশনের অধীনে কাশ্মীরী জনগণ তাদের স্ব-সিদ্ধান্তের অধিকার ফিরে পাবে। ভারত থেকে আসা আলোচনার প্রস্তাবটির বিস্তারিত জবাব দিতে গিয়ে ড. ইউসুফ বলেন, পাকিস্তান ভারতকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল যে, আইআইওজেকে জনসংখ্যার পরিবর্তন বন্ধ করতে হবে। কাশ্মীরি পরিচয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং যে কোনও সংলাপ বা আলোচনা হওয়ার আগে কাশ্মীরিদেরকে তাদের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
পাকিস্তানের এই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতার বিবরণও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদে ভারতের জড়িত থাকার প্রমাণসহ বিশদ দলিলসমূহ উপস্থাপন করেছিল পাকিস্তান। তিনি বলেন, গত মাসে লাহোরের জোহর টাউন বিস্ফোরণে ভারতের জড়িত থাকার নির্ভরযোগ্য তথ্য দিয়েছিলাম। ব্যাংকিং লেনদেন, টেলিফোন রেকর্ডস এবং সাইবার হামলার প্রমাণগুলো এই হামলায় ভারতের সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ করেছিল। ড. ইউসুফ আরও বলেন, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডের মাধ্যমে পাকিস্তানের সিপিইসি এবং চীনা স্বার্থকে নস্যাৎ করছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান সর্বদা শান্তির পক্ষে ছিল এবং প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাশখন্দে স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, পাকিস্তান প্রতিবেশী হিসাবে ভারতের সাথে সভ্য সম্পর্ক রাখতে চেয়েছিল। তবে ভারত সরকারের চরম হিন্দুত্ববাদী আরএসএস এর কারণে তা বার বার হোঁচট খাচ্ছে। তিনি ওই সাংবাদিককে জিজ্ঞাসা করলেন, কেন ভারতের অভ্যন্তরে জনগণ মোদীকে হিটলারের সাথে তুলনা করছেন?
তিনি ভারতীয় সাংবাদিককে বলেন, সাম্প্রতিক পেগাসাস কেলেঙ্কারির অধীনে প্রকাশিত পাকিস্তানি ব্যক্তিদের উপর ভারতের রাষ্ট্রীয় মদদে করা গুপ্তচরবৃত্তির রিপোর্ট এবং মোদী সরকার এফএটিএফ প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়াটিকে রাজনীতিকরণমূলক বিবৃতি এবং ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রকাশিত বিবৃতি সহ ভারতের দুর্বৃত্ত আচরণ নিয়ে পাকিস্তান গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রায় সমস্ত প্রযুক্তিগত মানদণ্ড পূরণ করেও পাকিস্তান ধূসর তালিকায় থাকবে কেন, বলে তিনি প্রশ্ন করেন।
পাকিস্তান ও ভারতের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ কতটা এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউসুফ বলেন, পাকিস্তান আশা করেছিল যে ভারত সরকার অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের ব্যাপারে তাদের ভুল বুঝতে পারবে এবং অগ্রসর হওয়ার জন্য সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে ৫ আগস্ট ২০১৯ এর আগের অবস্থানে ফিরে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।