মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আবারো বিক্ষোভে উত্তাল তিউনিসিয়া। সোমবার রাজধানী তিউনিসের আল-জাজিরার ব্যুরো অফিসের সব সংবাদমাধ্যমকর্মীকে বহিষ্কার করেছে দেশটির সরকার। একইসঙ্গে তাদের সব সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এর আগে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী হিসেম মিসিসিকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ। তবে প্রেসিডেন্টের নেয়া এই পদক্ষেপকে অভ্যুত্থান হিসেবে অভিহিত করেছে দেশটির বিরোধী রাজনীতিকরা। তিউনিসিয়ার পার্লামেন্টের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে দেশটির সবচেয়ে বড় দল ইন্নাদাহের সমর্থকরা। অবস্থান নেয় প্রেসিডেন্ট সাইদের শত শত সমর্থকরাও। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাথর ও বোতল-ছোড়াছুড়ি শুরু হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী। এর আগে ইন্নাদাহর প্রধান রেচড ঘানোচিকে পার্লামেন্টে ঢুকতে বাধা দেয় সেনাবাহিনী। স্পিকারও পার্লামেন্টে যেতে বাধার মুখে পড়েন। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের অভিযানের পর কার্যালয় থেকে সব কর্মীদের বের করে দেওয়া হয় এবং অফিসটির নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। এ সময় কেউ কেউ তাদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য সেখানে প্রবেশ করতে চাইলেও তাদের সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আল-জাজিরার ব্যুরো চিফ লতফি হাজ্জি বলেন, সেখানে অভিযান চালানোর জন্য পুলিশের কাছে কোনো ওয়ারেন্ট ছিল না।
তাছাড়া আমাদের অফিস বন্ধর করে দেয়ার জন্য কোনো আগাম নোটিশও দেয়া হয়নি। তবে অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা সংবাদ মাধ্যমটির কর্মীদের কাছে দাবি করেছেন, বিচার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী এই অভিযান চলছে। এদিকে প্যারিসভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, তিউনিসিয়ায় আল জাজিরার অফিসে হামলা এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে সংবাদমাধ্যমকে টেনে আনা উচিত হয়নি। এর আগে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারার অভিযোগে বিক্ষোভের পরিপেক্ষিতে পার্লামেন্ট স্থগিত করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী হিসেম মিসিসিকে অপসারণ করেন তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ। বেশ কয়েকটি শহরে সহিংস বিক্ষোভের পর স্থানীয় সময় রোববার নিজ বাসভবনে এক জরুরি বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট এই ঘোষণা দেন।
সোমবার তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, নতুন প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ, যা ২০১৪ সালের পর প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টের মধ্যে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সাংবিধানিক সংকট। বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমার এই ঘোষণায় কেউ যদি অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার চিন্তা করে, আমি তাদের সতর্ক করছি যে কেউ যদি গুলি চালায়, তবে সশস্ত্র বাহিনীও গুলির মাধ্যমেই তার জবাব দেবে। তিনি দাবি করেন, তার কাজ সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং তিনি সংসদ সদস্যদের দায়মুক্তি স্থগিত করেছেন। এর আগে রোববার তিউনিসিয়ার বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভে অংশ নিয়ে তারা করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং দেশ ও জনগণের ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য সরকারকে দায়ী করেন। এ সময় তারা সরকারে পদত্যাগ চেয়ে সেøাগান দিতে থাকেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশ কয়েকটি বড় শহরে ক্ষমতাসীন দল এন্নাহাদার অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারে তারা। এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রী হিসেম মিসিসির পদত্যাগ ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার দাবি জানায় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধ জনতা। আল-জাজিরা, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।