বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈদের আগে স্বল্প সময়ের জন্য ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে আবারও লকডাউন দেয়া হয়েছে। লকডাউনের গত ৫ দিনে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১০ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৬১ জন। যত দিন যাচ্ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রটি জানায়, আজ মঙ্গলবার ২৪ ঘন্টায় খুলনা বিভাগে মারা গেছেন ৪৬ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৩৫ জন। এর আগের ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ সোমবার মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৮৬ জন। রোববার মারা গেছেন ৪৫ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৭৮ জন। শনিবার মারা যান ৩৩ জন। আক্রান্ত হন ২৪৯ জন। শুক্রবার মারা গেছেন ৪০ জন। আক্রান্ত হন ২১৩ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ঈদে সড়ক, রেল ও নৌ পথে গাদাগাদি করে লাখ লাখ মানুষের যাতায়াত, কোরবানির হাটে ব্যাপক জনসমাগম, স্বাস্থ্য বিধি মানতে অনীহা, লকডাউন অমান্যসহ বিভিন্ন কারণে সারাদেশেই সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে। খুলনা বিভাগেও বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানার মাশুল জনগণকে এখন দিতে হচ্ছে।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, বিভাগের মধ্যে খুলনা জেলায় সংক্রমণ উর্ধ্বমুখি। গত ২৪ জুলাই জেলায় আক্রান্ত ছিল ৯৫ জন। ২৫ জুলাই ১৯৭, ২৬ জুলাই ২৫৩ এবং ২৭ জুলাই ৪৬৯ জন। লকডাউনের ৫ দিনে খুলনায় জেলায় ৪৪ জন মারা গেছেন।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সাধারণ মানুষের অসচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল কারণ। এছাড়া বর্তমানে করোনার যে ভ্যারিয়েন্টটি রোগ ছড়াচ্ছে, তা আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর চেয়ে বেশী শক্তিশালী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।