Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোটরসাইকেলে থামছে না যাত্রী পরিবহন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

রাজধানীতে কোন ভাবেই থামছে না মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন। ঈদ-পরবর্তী কঠোর বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করছে অনেকেই। জরুরি প্রয়োজনে মোটরবাইক সড়কে বের হলেও চালক ব্যতীত অন্য কাউকে নেয়া নিষেধ। যাত্রী পরিবহনের কোনো সুযোগই নেই। কিন্তু সেই বিধিনিষেধ না মেনে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছেন অনেক মোটরসাইকেলচালক। সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্টে ফাঁকি দিতে নানা কৌশল ব্যবহার করছেন তারা। গতকাল রোববার রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনের চিত্র দেখা গেছে।
তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মোটরসাইকেলে চালকের বাইরে কোন যাত্রী পরিবহন করলে জরিমানা বা মামলা নেয়া হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে বা যেখানে চেকপোস্ট রয়েছে এর বাইরে দিয়ে চলাচল করছেন মোটরসাইকেল চালকরা।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তা থেকে ডেকে ডেকে যাত্রী তুলছেন মোটরসাইকেলচালকরা। নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা কৌশলে পথ চলছেন। চেকপোস্টের আগেই যাত্রীদের মোটরসাইকেল থেকে তারা নামিয়ে দেন। যাত্রীরা হেঁটে চেকপোস্ট অতিক্রম করার পর আবারও নেয়া হয় মোটরসাইকেলে। এভাবেই চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন।
মগবাজার এলাকায় হামিদুর রহমান নামে এক মোটরসাইকেলচালক বলেন, আমি প্রথম লকডাউনে চাকরি হারিয়েছি। তারপর চাকরি না পেয়ে কিস্তিতে বাইক কিনেছি। বাইক চালিয়েই আমার সংসার চালাই, কিস্তি পরিশোধ করি। এখন লকডাউন চলে; কিন্তু বাইক না চালালে খাবো কী? পরিবার চলবে কিভাবে?

মালিবাগ মোড়ে গতকাল দুপুর ১২টায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বাইকার বলেন, আমি একটি ছোট চাকরি করি। এখনও অফিস চলছে। তাই অফিসে যাওয়ার সময় একজন নিয়ে যাই। আসার সময় একজন নিয়ে আসি। এতে আমার গাড়ির তেল খরচটা উঠে যায়। অন্যজনকে সাহায্য করাও হলো। অফিসের বেতন কমে যাওয়ায় এমনটি করতে হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এছাড়া লকডাউনের তৃতীয় দিনে রাজধানীর সড়কগুলোতে বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ। সেইসঙ্গে বেড়েছে লোক চলাচল ও রিকশা চলাচল। অলি-গলিতে অবাধে ঘোরাফেরা করছেন মানুষ। অনেকের মুখে থাকছে না মাস্ক। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট রয়েছে। তবে সেগুলোতে রয়েছে ঢিলেঢালা ভাব। গতবারের তুলনায় এবারের লকডাউনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা অনেক কম। চেকপোস্টগুলোতে মাঝে-মধ্যে গাড়ি থামিয়ে অহেতুক ঘোরাঘুরি করছে কি না তা যাচাই ও কাগজপত্র চেক করা হচ্ছে। তবে অবাধে ঘোরাফেরা করা সাধারণ মানুষদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার সন্মুখীন হতে দেখা যায়নি।

উল্লেখ্য ঈদুল আজহা ও পশুরহাটে কেনাবেচার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ১৫ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করেছিল সরকার। আট দিন বিরতির পর ২৩ জুলাই ভোর ৬টা থেকে দুই সপ্তাহের জন্য ফের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয় সরকার। যা চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোটরসাইকেল

২৯ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ