মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাশ্মীরিরা স্বাধীনতাকে বেছে নিতে পারেন। আগে দেয়া প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে গত শুক্রবার এ কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি এদিন দু’বার কাশ্মীরিদের প্রতিশ্রুতি দেন। বলেন, জাতিসংঘের মাধ্যমে কাশ্মীরিরা যদি স্বাধীনতা চায়, তাহলে তাদেরকে তা দেবে ইসলামাবাদ। তারার খাল এবং কোটলিতে নির্বাচনের শেষ দিনে শুক্রবার দুটি নির্বাচনী র্যালিতে ভাষণ দেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগ করেন যে, ইমরান খান আজাদ জম্মু-কাশ্মীরকে একটি প্রদেশে পরিণত করতে চান। এছাড়া এসব ধারণা কোথা থেকে আসছে সে বিষয়ে তিনি জানেন না। এসব অভিযোগের কড়া জবাব দিয়েছেন ইমরান। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে মুক্তি আন্দোলন করে আসছেন কাশ্মীরিরা। বলেছেন, এতে যারা অনাকাক্সিক্ষতভাবে জীবন উৎসর্গ করেছেন তা বৃথা যাবে না। তাদের উচিত নিজেদের স্ব-অধিকার চর্চা করা। তারা চাইলে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি গণভোটের মাধ্যমে ভারতের সাথে নয়, পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হতে পারে।
ইমরান খান বলেন, তারপর আমরা আরেকটা গণভোট দেব। তাতে জানতে চাওয়া হবে, তারা পাকিস্তানের সাথেই বসবাস করতে চায়, নাকি স্বাধীন জাতি হিসেবে থাকতে চায়। ইমরান খান দুটি রাজনৈতিক র্যালিতেই এই কথা বলেন। এ সময় উল্লসিত জনতা তাকে করতালি দিয়ে অভিবাদন জানান।
ইমরান খান বলেন, যে জাতি কমপক্ষে ১৫০ বছর অধিকারের জন্য লড়াই করছে তাদের সেই অধিকার পাওয়া উচিত। স্মরণ রাখবেন, এই সিদ্ধান্ত কাশ্মীরিদেরই নিতে হবে। সেই দিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আপনারা আপনাদের মুক্ত ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেবেন। ইমরান খান বলেন, কাশ্মীরিদের লড়াই শুধু ভূমির জন্য নয়। তাদের লড়াই মৌলিক মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকারের। এ অধিকারের মধ্য দিয়ে তারা তাদের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণে সিদ্ধান্ত নিতে চায়। যদিও কাশ্মীরের মানুষ ইতিহাসে তাদের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে, কিন্তু ভারত শিগগিরই তাদের অধিকারে সম্মান দেখাবে, গণভোট দেবে। ইমরান খান নিজেকে কাশ্মীরের দূত হিসেবে বর্ণনা করেন। কথা দেন, তিনি আন্তর্জাতিক সব ফোরামে বিশ্বনেতা এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কাছে এ বিষয়ে তার কণ্ঠ সোচ্চার রাখবেন।
প্রধানমন্ত্রী তখন জনতার উদ্দেশে বলেন যে, ‘আপনাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত যে তারা (পুরনো দু’টি দল) জনগণের জীবন-মান উন্নয়নে কী করেছিল এবং তারা নিজ নিজ সরকারকালে কাশ্মীরের পক্ষে বাইরের বিশ্বে কতটা লড়াই চালিয়েছিল’।
প্রধানমন্ত্রী অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ এবং নয়াদিল্লিতে পরিচালিত হিন্দুত্ববাদী সরকারের ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের কথা উল্লেখ করে বলেন, বরং তারা নরেন্দ্র মোদির সাথে বন্ধুত্ব করেছিল, যদিও তিনি কাশ্মীরিদের উপর সর্বাধিকতম নৃশংসতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি জিজ্ঞাসা করি, আসিফ জারদারি এবং নওয়াজ শরীফ আরএসএসের নামটি কতবার নিয়েছেন। ভারতীয় মুসলমানদের নিয়ে যা ঘটছে তার তারা কতবার নিন্দা করেছেন। তারা আরএসএসের মতাদর্শের বিরুদ্ধে মুসলমান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের দমনের বিরুদ্ধে কতবার আওয়াজ তুলেছেন।
মিঃ শরীফ সম্পর্কে, তিনি বলেন যে, তিনি মিস্টার মোদিকে তার পরিবারে একটি বিয়েতে উপস্থিতির জন্য শুধু অনুরোধ করেননি, মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি ভারত সফরের সময় হুরিয়াত সম্মেলনের নেতাদের সাথে সাক্ষাত করতেও অস্বীকার করেছিলেন। সূত্র : ডন, জিও নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।