পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
কাশ্মীরে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে জার্মান সরকার দুটি অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে ভারতের কাছে ছোট অস্ত্র বিক্রির ছাড়পত্র দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ভারতের টেলিগ্রাফসহ কয়েকটি পত্রিকায় এ খবর দেয়া হয়েছে। জার্মানি ইউরোপে ভারতের এক নম্বর এবং বিশ্বে ছয় নম্বর বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার হয়েও আশঙ্কা করছে, এ সব ছোট অস্ত্র কাশ্মীরের জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে। এর আগেও ভারতের গুজরাট, জম্মু-কাশ্মীর, অন্ধ্র প্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে ভারতকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখে জার্মানি। সম্প্রতি বেলজিয়ামের একটি অস্ত্র বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান একই কারণ দেখিয়ে ভারতের স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের (এসএফএফ) জন্য ২০ কোটি রুপির ছোট অস্ত্র ও এসল্ট রাইফেলের সরবরাহ বাতিল করে দিয়েছে। এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন কাশ্মীর সফরের প্রতিবাদ জানিয়ে শ্রীনগর ও আশেপাশের এলাকা রাস্তায় গলিতে দেয়াল ও লাইট পোস্টে পোস্টার সাটিয়ে দিয়েছে কাশ্মীরের লোকজন। আগামী ২৫ ফেব্উয়ারির পর যেকোনো দিন নরেন্দ্র মোদির কাশ্মীর সফরে যাবার কথা রয়েছে। রোববার কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসেস (কেএমএস) এক রিপোর্টে জানিয়েছে, কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক এটা দেখানোর জন্য এ সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো ছাপা পোস্টারে উর্দুতে লেখা হয়েছে ‘কাশ্মীর নরেন্দ্র মোদির সফরকে প্রত্যাখ্যান করছে। মোদির হাতে কাশ্মীরি জনগণের রক্ত। কাশ্মীরে বিজেপি’র হিন্দুত্ববাদ রোপণ করতে চাইছেন মোদি। জনসংখ্যার অনুপাত বদলে দিয়ে কাশ্মীরের মুসলিম ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির বিলোপ ঘটাতে চান নরেন্দ্র মোদি।’ এদিকে, ভারত অধিকৃত জম্মু কাশ্মীরে বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে, রাস্তায় ব্যারিকেড ও নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে নিরাপত্তা কঠোর করা হয়েছে। একইসাথে শ্রীনগরের রাস্তায় টহল দিচ্ছে মিলিটারি কনভয়। শুক্রবার বাদ্গাম জেলায় কাশ্মীরি গেরিলাদের সাথে সংঘর্ষে দুজন পুলিশ নিহত হবার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এরই মধ্যে, বান্দিপোরা জেলায় স্থানীয় দুজন যুবকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকায় বিচ্ছিন্নতাকামী যোদ্ধাদের সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া, সরকারি বাহিনীর উচ্ছেদ তৎপরতা নিয়ে খবর প্রকাশের জন্য বান্দিপোরা এলাকায় সাযাদ গুল নামের একজন সাংবাদিকে আটক করা হয়েছে। সাযাদ গুল কাশ্মীর প্রেসক্লাবের কাছে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে যে, সে নাকি পুলিশের উদ্দেশে পাথর ছুঁড়ে মেরেছে। গতবছর জুনে কাশ্মীরে একটি নিবর্তণমূলক মিডিয়া আইন চালু করে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। এ আইনের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন কাশ্মীরের সাংবাদিকরা। টেলিগ্রাফ, কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।