পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলছে বর্ষার ভরা মৌসুম। বাংলাদেশের ওপরে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় কখনো হালকা কখনো ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ মাসের শেষে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে উজানে অর্থাৎ ভারতেও। ফলে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করা ব্রহ্মপুত্র, যমুনা এবং পদ্মার পানি বেড়ে এ মাসের শেষে অথবা আগস্টের শুরুতে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের অন্তত ২৫টি জেলা প্লাবিত হওয়ার আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এ প্রসঙ্গে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, চলতি মাসে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর পূর্বাঞ্চল, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর মধ্যাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের কিছু জেলায় স্বল্প থেকে মধ্য মেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকার কিছু স্থানে স্বল্প মেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এ মাসের বৃষ্টির পূর্বাভাস আমলে নিয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ওই সময়ে ভারতের অরুণাচল, আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে নেমে আসা উজানের পানিতে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা নদীর পানি বাড়তে পারে। ফলে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, পাবনা, নওগাঁ এবং নাটোরের নিম্নাঞ্চলে পানি বাড়তে পারে। তবে বিপদ সীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা কম।
ইতোমধ্যে ভারতের বিহার ও উত্তর প্রদেশের কিছু স্থানে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে গঙ্গা নদীর পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে দেশের মধ্যাঞ্চলের রাজবাড়ি, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর এবং চাঁদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা হতে পারে। তবে গঙ্গা নদীর অববাহিকার জেলাগুলোতে বন্যার আশঙ্কা নেই। অন্যদিকে সুরমা, কুশিয়ারা ও মেঘনা অববাহিকার উজানে সারিগোয়াইন, জাদুকাটা, সোমেশ্বরী, কংস, মনু, খোয়াই এসব নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। এতে নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলায় বন্যা হতে পারে।
চলতি মাসের শেষের দিকে পার্বত্য জেলা বান্দরবান, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটিতে ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এই বৃষ্টিপাতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্টদের সর্তক থাকতে বলেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা ও পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরাবরের মতো এবারও দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যা বেশি হতে পারে। ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পাবে। আগামী সাত দিনে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা নেই। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের নিচু এলাকাগুলোতে বন্যা দেখা দিতে পারে। তবে এ বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
এ প্রসঙ্গে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, জুলাই- আগস্ট বর্ষা মৌসুম। এ সময় যে বৃষ্টি বা বন্যা হয় তা স্বাভাবিক। তবে জুলাইয়ের শেষে এবং আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বন্যার একটা আশঙ্কা থাকে। এটা দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে হয়ে থাকে। এবারও দেখা যাচ্ছে তার ব্যতিক্রম হবে না। পূর্বাভাস অনুযায়ী একটা স্বল্প মেয়াদি বন্যা আসতে পারে। তবে তা এক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।