বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমের স্বীকৃতি দিতে ‘জনপ্রশাসন পদক-২০২০ প্রদান করছে সরকার। জনপ্রশাসনে কর্মরত কর্মচারীদের সৃজনশীল কার্যক্রমে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সাধারণ ও কারিগরি ক্ষেত্রে জাতীয়-জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ পদক দেওয়া হচ্ছে। সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদেরকে কাজের প্রতি উৎসাহী করতে ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর প্রবর্তন করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় জনসেবা প্রদানে উল্লেখযোগ্য ও প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ০৩ জন কর্মকর্তাকে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ (দলগত) ক্যাটাগরিতে জনপ্রশাসন পদক ২০২০ এর জন্য মনোনীত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম’র স্বাক্ষরিত ১৮ জুলাই এক পত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রহিম কর্তৃক উদ্ভাবিত “মাতৃমৃত্যু মুক্ত কাপাসিয়া মডেল” কার্যক্রমের জন্য এই গৌরবময় সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
পদক প্রাপ্ত কর্মকর্তাগন হলো : কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোসাঃ ইসমত আরা গত প্রায় ৩ বছর যাবত কাপাসিয়ায় যথেষ্ট সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ৩০তম বিসিএস এর একজন চৌকস অফিসার। তিনি ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবদুস সালাম সরকার। তিনি ২১তম বিসিএস এর একজন সফল অফিসার। তিনি গাজীপুর সদরের বাসিন্দা। ২০০৩ সালে তিনি ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মজীবন শুরু করেন। গাজীপুর সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর থেকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় ভাবে সারাদেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে ২০১৯ সালে প্রথম স্থান এবং জাতীয় ভাবে সারাদেশের মধ্যে ২০১৯ সালে জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় প্রথম স্থান অর্জন করেন তিনি।
কাপাসিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রহিম। তিনি ৩৪তম বিসিএস এর একজন সুদক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তা। জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। কাপাসিয়া উপজেলা তাঁর প্রথম কর্মস্থল। ২০১৬ সালের ১২ জুন তিনি প্রথম এই উপজেলায় যোগদান করেন। তিনি একজন দক্ষ সংগঠক ও উদ্ভাবক হিসেবে সুনামের সাথে কাপাসিয়া উপজেলায় কাজ করে যাচ্ছেন।
জেলা পর্যায়ে পরপর ০৩ বছর (২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০) তিনি জনসেবা উদ্ভাবনী পদক অর্জন করেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগীয় ইনোভেশন শোকেসিং-২০২০ এ ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবক এর গৌরব অর্জন করেন তিনি। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তার স্বীকৃতি লাভ করেন তিনি। ‘মাতৃমৃত্যু মুক্ত কাপাসিয়া মডেল’ এর উদ্ভাবক তিনি, যা ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে জাতিসংঘের ইউএনএফপিএ কর্তৃক বাংলাদেশের ‘বেস্ট প্র্যাকটিস’ বা ‘উত্তম চর্চা’ হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। উল্লেখ্য যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে “মাতৃমৃত্যু মুক্ত কাপাসিয়া মডেল” বাংলাদেশের ১০০ টি উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশের সব উপজেলায় এই মডেল রেপ্লিকেট করা হবে।
আগামী ২৭ জুলাই, সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সম্মাননা পদক প্রদান করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে (ভার্চুয়ালি) উপস্থিত থাকবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
জাতীয়ভাবে জনপ্রশাসন পদকের জন্য মনোনীত হওয়ায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এমপি, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম ,কাপাসিয়া উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আমানত হোসেন খান , উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ তাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।