গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মা-মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৪ জুলাই) সকালে নয়াগাঁও ৩নং গলির একটি বাসা থেকে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মৃতরা হলেন, মা ফুল বাসি চন্দ্র দাস (৩৪) ও সুমি চন্দ্র দাস (১২)। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ ফুল বাসি’র স্বামী মুকুন্দ চন্দ্র দাস (৩৬) ও তার বড় মেয়ে ঝুমা রানী দাসকে (১৪) আটক করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মুকুন্দ চন্দ্র ভ্যানগাড়িতে করে সবজি বিক্রি করতেন। মাঝে মাঝে তিনি ঠেলা গাড়িও চালাতেন। ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় শ্বাসরোধ করে ফুল বাসি ও মেয়ে সুমি চন্দ্র দাসকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। সুরতহাল শেষে লাশ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই জহুরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে আমরা লাশ দুটি উদ্ধার করি।
পরিবার ও প্রতিবেশীদের বরাতে তিনি বলেন, বড় মেয়ে ঝুমা ভোর পাঁচটার দিকে ঘুম থেকে উঠে মা এবং বোনকে অচেতন অবস্থায় দেখে চিৎকার শুরু করে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘরে এসে দেখেন মা-মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে পুলিশকে খবর দেয়।
সিআইডি’র ক্রাইম সিন ইউনিট আলামত সংগ্রহ করেছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে কামরাঙ্গীরচর থানার ডিউটি অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান, দুই জনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন হিসেবে ফুল বাসি’র স্বামী মুকুন্দ চন্দ্র দাস ও বড় মেয়ে ঝুমা রানী দাসকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।