পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সিআরবিতে হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউটের মতো বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত আছে। ঈদের ছুটিতেও বিভিন্ন সংগঠন সিআরবির সবুজ প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের পায়তারা বন্ধের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে। এসব কর্মসূচি থেকে নগরীর ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র সিআরবি সুরক্ষায় অবিলম্বে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। ঈদের দিনও সিআরবির সবুজ চত্বর আর শিরীষ তলায় অসংখ্য মানুষের ভিড় জমে। নানা বয়য়, শ্রেণি পেশার মানুষ সেখানে ঘুরে বেড়ায়। তারা উম্মুক্ত স্থান দখল এবং মাতৃবৃক্ষ ধ্বংস করে স্থাপনা নির্মাণের বিরোধীতা করেন।
গত মঙ্গলবার উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদী কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে সংরক্ষিত এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণ করা যাবে না। তাই অবিলম্বে সিআরবি ধ্বংসের পায়তারা বন্ধ করে হাসপাতাল নির্মাণের চুক্তি বাতিল করতে হবে। সমাবেশে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, নগরীর ৮০ লাখ মানুষের প্রাণকেন্দ্র সিআরবি। নগরবাসীর দাবি সিআরবিকে রক্ষা করতে হবে। একই দাবি সংস্কৃতি কর্মীদেরও। তাই সরকারকে আহ্বান জানাব, এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে। ইতিমধ্যে দলের নেতৃবৃন্দকে আমরা অবহিত করেছি। চট্টগ্রামের মানুষ জেগে উঠেছে। সংস্কৃতিকর্মীরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি হাসপাতাল নির্মাণের এ চুক্তি অবিলম্বে বাতিল হবে। সিআরবি তার স্বরূপে বহাল থাকবে। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য উদীচী জেলা সংসদের আহ্বায়ক মাহববুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, সিআরবির পরিবেশ ধ্বংস করে এখানে হাসপাতালের কোনো প্রয়োজন নেই। সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি মানে জনগণের জমি। এখানে মানুষ হাসপাতাল চায় না। ডা. অসীম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুজিত চক্রবর্তী, আবুল কাশেম, মৃত্যঞ্জয় দাশ, পরিবেশবাদী সংগঠন ইকো ফ্রেন্ডস সভাপতি উত্তম আচার্য্য, শিক্ষক টিঙ্কু ভৌমিক, সংস্কৃতি কর্মী জয়শ্রী মজুমদার লাকি, প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পাল। সমাবেশে সংহতি জানান সাংবাদিক ও শিল্পী আলোকময় তলাপত্র, নাট্যজন দুলাল দাশগুপ্ত, মোরশেদুল আলম চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।