বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পবিত্র ঈদ উল আযহার আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত রাকিব হ্যদয় (২৫) নামের এক তরতাজা যুবক মারা গেল ঈদ উল আযহার রাতে। একই ঘটনায় ছুরিকাহত হ্যদয়ের বাবা মামুনুর রশীদ কালকুট (৫০) হাসপাতাল শয্যায় চিকিৎসা নিচ্ছে। তার অবস্থাও আশংকা জনক।
নিহত রাকিব হ্যদয় কোরানের হাফেজ এবং বগুড়া শহরের ‘কৈ পাড়া ’ এলাকার হ্যদয় স্টোর নামে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক সে। তার বাবা মামুনুর রশীদ কালকুট একটি বেসরকারি স্কুলের প্রধাণ শিক্ষক । বৃহষ্পতিবার সকালে এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত পুলিশ ঘাতকদের গ্রেফতার করেনি। এই পৈশাচিক হত্যাকান্ডে কৈ পাড়া এলাকার মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে ।
ময়না তদন্তের পর চলছে লাশ দাফনের প্রস্তুতি ।
হাফেজ হ্যদয় হত্যা প্রসঙ্গে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেছেন , মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর হ্যদয় স্টোরে আশিক ও স্বাধীন নামের ২ যুবকের সাথে বাকিতে সিগারেট খাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় হ্যদয়ের। এর জের ধরে ওই দুজনের সাথে সুমন , শুভ সহ বেশ কয়েকজন এসে হ্যদয়কে চুরিকাঘাত করে । খবর পেয়ে হাফেজ ছেলেকে বাঁচাতে আসেন শিক্ষক পিতা । সন্ত্রাসীরা তাকেও ছুরিকাঘাত করে ।
এলাকাবাসি দুজনকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ঈদের রাত সাড়ে ৮টায় মারা যায় হ্যদয় ।
নিহত হাফেজের স্বজনরা অবশ্য জানান, হ্যদয় ও তার বাবার ওপর হামলা তুচ্ছ কারনে হঠাৎ করে নয় । পরিকল্পিতভাবেই সন্ত্রাসীরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। হামলায় অংশগ্রহনকারি শুভর সাথে পুর্বের শত্রুতার জের ধরে বাকিতে সিগারেট খাওয়ার নাটক করে হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। কারন হ্যদয় স্টোরেই কিছুদিন আগে শুভর ভ্যারাইটি স্টোর ছিল । ভাড়া বকেয়া থাকায় মালিক শুভকে উচ্ছেদ করে ওই ঘরটি ভাড়া দেন হাফেজ হ্যদয়কে। বিষয়টি নিয়ে দেড় বছর আগে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল শুভ।
সম্ভবত ওই হুমকির জেরেই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।