Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিনি আর গাইবেন না!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০২১, ১২:০৭ এএম

আর গান গাইবেন না পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স। নিজের বাবার জন্য তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিলেন, যতদিন তার বাবা জেমস পারনেল স্পিয়ার্স তার ‘পোশাক থেকে শুরু করে ভাবনা-চিন্তা-কথা বলা’ নিয়ন্ত্রণ করা বন্ধ না করছেন, তিনি আর গান গাইবেন না।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ব্রিটনির জীবনযাত্রা ও আর্থিক সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন জেমস। সম্প্রতি তিনি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে কনজারভেটরশিপ আইনের বিরুদ্ধে নতুন আইনজীবী নিয়োগ করেছেন। আর তার পরদিনই সামাজিক মাধ্যমে ওই কথা জানিয়ে দেন।
গ্র্যামি-জয়ী ব্রিটনির কথা, কনজারভেটরশিপ বা তাকে নিয়ন্ত্রণের এই আইন সব স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। এতটাই ভেঙে পড়েছেন যে, নতুন করে আর কোনো গান লেখার ক্ষমতা তার নেই।
ইনস্টাগ্রামে ব্রিটনি লিখেছেন, ‘একগাদা মেকআপ করে নিজের গানেরই রিমিক্স বারবার গাওয়া আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়। আমার পছন্দ নয় আমার বোন আমার হয়ে কোনো অ্যাওয়ার্ড শো-তে যাবে আর আমার গানেরই রিমিক্স গাইবে। এই কনজারভেটরশিপ আমাকে মেরে ফেলেছে প্রায়। এখন শুধু মনে আশা আছে! এই আশাই যা মরতে চায় না!’
লস অ্যাঞ্জেলেসের আদালতের বিচারককে ব্রিটনি বলেছেন, ‘আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি এবং দিনের পর দিন কেঁদেছি। আমি আমার জীবন ফিরে পেতে চাই।’ জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও আদালতের পক্ষ থেকে ব্রিটনির বাবার সপক্ষেই রায় দেওয়া হয়। এরপর নতুন আইনজীবী নিয়োগ করে ফের আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন তিনি।
গত ১৩ বছর ধরে ব্রিটনি কনজারভেটরশিপের আওতায় আছেন। আমেরিকার আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির মানসিক, শারীরিক এবং বয়সজনিত সমস্যা থাকলে তাকে কনজারভেটরশিপের আওতায় আনা যায়। এ ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির অর্থ, সম্পত্তি এবং অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একজন তত্ত্বাবধায়ক থাকবেন। ২০০৮ সালে আমেরিকার আদালত ব্রিটনির বাবা জেমসকে এই দায়িত্ব দেয়। ওই সময়ে মানসিক দিক থেকে ব্রিটনি একেবারেই দুর্বল অবস্থায় ছিলেন।
ঠিক তার আগেই গায়িকার দ্বিতীয় বিয়েও ভেঙে যায়। স্বামী কেভিন ফেডারলাইন তাদের দুই ছেলের যাবতীয় দায়িত্ব পান। তার পরেই ব্রিটনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। সূত্র : দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, হলিউড রিপোর্টার।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ