পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের প্রচণ্ড চাপেই জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাশ ২০ দলীয় জোট ছেড়ে চলে গেছে বলে মনে করে বিএনপি। জোটের প্রধান শরিক বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২০ দলীয় জোটে ২০ দলের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা চমৎকার।
গতকাল রোববার জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশের ২০ দল ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনীতিতে উনারা (জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশ) টিকতে পারছেন না, বিরোধী রাজনীতিতে টিকতে পারছেন না সেকারণে উনারা চলে গেছে। এই কথা বললেই তো হয় যে, প্রচণ্ড চাপে আমরা টিকতে পারছি না, মামলা-মোকাদ্দমায় ভীষণভাবে ব্যতিব্যস্ত হয়ে গেছি। সেটা না বলে কোনো ব্যক্তি বা কোনো দলকে দোষারোপ করা- এটা সঠিক কাজ নয়।
তিনি বলেন, আমরা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের দল আমাদের ঘোষণাপত্র অনুযায়ী রাজনীতি করছি এবং ২০ দলেও যারা আছেন আমাদের সঙ্গে তারাও সেভাবে রাজনীতি করছেন এবং পারস্পরিক আস্থা আমাদের মধ্যে চমৎকার আছে।
গত ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করে ২০ দল ছাড়ার ঘোষণা দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া। তিনি বলেন, সম্প্রতি শরিক দলগুলোর সাথে পরামর্শ ও মতামত না নিয়ে বিএনপির একতরফাভাবে নির্বাচনের বর্জনের ঘোষণা দেয়া, বিএনপি মহাসচিবের শরীয়া আইনে বিশ্বাসী না হওয়ার বক্তব্য দেয়া, দেশব্যাপী আলেম-উলামাদের জেলজুলুমের প্রতিবাদ না করা, দলের মরহুম নেতা আল্লামা নুর হোসাইন কাশেমীর ইন্তেকালের পর তার প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে সমবেদনা জ্ঞাপন না করা এবং তার জানাজায় অংশগ্রহণ না করায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ২০ দলীয় জোট থেকে বের হয়ে যায় দলটি।
শরীয়া আইন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের সংগঠনের গঠনতন্ত্র পড়লে দেখবেন, শরীয়া আইনের বিশ্বাসের ব্যাপারটা নেই কোথাও। উনারা চান, উনারা করুন। আমাদের সব জয়গাতে পরিস্কার করে বলা আছে যে, আমরা শরীয়া আইনের কোনো বিরোধিতা করব না, শরীয়া আইনের বিরোধী কোনো আইন পাস করব না। আমরা সরকারে ছিলাম কোনো আইন পাস করি নাই। কিন্তু আমরা কী শরীয়া আইনের বিরোধিতা করেছি, ইসলামী ম্ল্যূবোধের বিরোধিতা। এসব কথা বলার অর্থ হচ্ছে যে, ব্যক্তিগত আক্রমন করা। উনারা ভালো কাজ করেনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, উনারাদের সাথে আমাদের কোনো সমস্যাই হয়নি। ২০ দলের যে ঘোষণাপত্র ছিলো সেটাতে বলা হয়েছিলো ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে একটা আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য একটা জোট এবং সেইভাবে এই আন্দোলন করেই নির্বাচনে যাওয়ার একটা ব্যাপার ছিলো। সেখানে কিন্তু শরিক যেকোনো দল তার নিজস্ব রাজনীতি করবে, তার নিজস্ব কথা বলবে। এখানে আরেকটা দলের রাজনীতি আরেকটার উপরে চাপিয়ে দেয়ার কোনো ব্যাপার নেই।
তিনি বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রধান মাওলানা নূর হোসেইন কাশেমী সাহেব অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় মানুষ। আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা করতাম, একজন সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক লোক বলতে যা বুঝায় তিনি ছিলেন। বড় আলেম, ইসলামী চিন্তাবিদও ছিলেন। উনি মারা যাওয়াতে সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়েছে এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই। উনার মৃত্যুর সাথে সাথে শোকবানী প্রদান ও ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকায় সফরকে কেন্দ্র করে আলেম-উলামাদের গ্রেপ্তার মামলা দায়ের ঘটনার পরপরই বিবৃতি প্রদান ও বিশেষ সংবাদ সম্মেলন বিএনপি একাধিকবার করেছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।