নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নারী প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে এক ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছে বসুন্ধরা কিংসের মেয়েরা। শনিবার সকালে কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নিজেদের ত্রয়োদশ ম্যাচে বসুন্ধরা ১৮-০ গোলে জামালপুর কাচারিপাড়া একাদশকে বিধ্বস্ত করে শিরোপা উল্লাসে মাতে। প্রথমার্ধে বিজয়ীরা ৭-০ গোলে এগিয়ে ছিল। কিংসের এই বড় জয়ে তিনটি হ্যাটট্রিক আছে। এর মধ্যে কৃষ্ণা রানী সরকার ৫টি, অধিনায়ক সাবিনা খাতুন চারটি ও তিনটি গোল করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। একটি করে গোল করেন সানজিদা, মনিকা, আনাই মিনি ও সুমাইয়া। বাকি গোলটি আসে কাচারিপাড়ার আত্মঘাতীর মাধ্যমে। ম্যাচ জিতে ১৩ খেলার সবক’টিতে জয় পেয়ে বসুন্ধরার পয়েন্ট ৩৯। তাদের নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আতাউর রহমান ভূইয়া (এআরবি) কলেজ স্পোর্টিং ক্লাব তিন পয়েন্ট পেছনে থেকে রানার্সআপ হয়েছে। একই ভেন্যুতে শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে এআরবি কলেজ স্পোর্টিং ক্লাব ৯-০ গোলে সদ্যপুস্করনি যুব স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে লিগে দ্বিতীয়স্থান পায়।
শেষ দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল বসুন্ধরার। তাই শিরোপা জয় উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে এসেছিল তারা। জামালপুরের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর পরই কর্পোরেট দলটির খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা চ্যাম্পিয়ন লেখা জার্সি পরে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে। দুই ম্যাচ আগে এআরবি কলেজ স্পোর্টিং ক্লাবকে হারানোর পর বসুন্ধরা কিংসের শিরোপা জয় ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। আগের ম্যাচে কুমিল্লা ইউনাইটেড ক্লাবকে হারিয়ে শিরোপা প্রায় নিশ্চিত হলেও গাণিতিক কারণে শিরোপা উল্লাসে মাততে পারেননি সাবিনারা। যেটা তারা পেরেছেন জামালপুর কাচারিপাড়া একাদশকে উড়িয়ে দিয়ে।
নারী লিগে এটা কিংসের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়। তবে এবার তারা গত আসর থেকে কম গোলের দেখা পেয়েছে। লিগের গত আসরে বসুন্ধরা ১১৯টি গোল করলেও এবার ১৩ ম্যাচ পর্যন্ত তারা করেন ১০৭ গোল। যার মধ্যে কৃষ্ণা রানী সর্বোচ্চ ২৪ এবং সাবিনা করেছেন ২১ গোল। ম্যাচ শেষে বসুন্ধরার কোচ আবু ফয়সাল আহমেদ বলেন. ‘আজ ড্র হলেও আমরা শিরোপা জিততাম। কিন্তু বড় জয়ের জন্য খেলেছি। চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে দারুণ খুশি আমরা।’ দলের সিনিয়র ফুটবলার কৃষ্ণা বলেন, ‘আমাদের একটা চ্যালেঞ্জ ছিল ক্লাবকে পুনরায় শিরোপা জেতানো। সেই কাজটি আমরা করতে পেরেছি বলে বেশি খুশি লাগছে।’
টানা শিরোপা জিতলেও খুব বেশি উল্লাস করেননি সাবিনারা। শেষ ম্যাচে জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে উঠতে চান তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।