এরপর তারা মনোযোগ দেন রানের গতি বাড়ানোর দিকে। ৬৮ বলে জুটি ও দলের রান যায় তিন অঙ্কে। ৩৪ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন রিজওয়ান, এর আগেই ৩৫ বলে ফিফটি হয়ে যায় বাবরের।
৮৭ বলে জুটির রান দেড়শ হতেই ফিরেন রিজওয়ান। এই কিপার-ব্যাটসম্যানের ৪১ বলে খেলা ৬৩ রানের ইনিংস গড়া আট চার ও এক ছক্কায়।
বড় জুটি ভাঙলেও এর কোনো প্রভাব পড়েনি পাকিস্তানের ইনিংস। পরের ব্যাটসম্যানরা বড় শট খেলায় বরং বাড়ে রানের গতি। দুই ছক্কা ও এক চারে ৭ বলে ১৯ রান করে ফিরেন সোহেব মাকসুদ।
সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ৮৫ রানে থামেন বাবর। তার ৪৯ বলের অধিনায়কোচিত ইনিংস সাজানো তিন ছক্কা ও আট চারে।
চারে নেমে ৮ বলে ২৬ রানের খুনে ইনিংস খেলেন ফখর জামান। তার সমান তিন চার ও এক ছক্কায় ১০ বলে ২৪ রান করেন হাফিজ।
বড় রান তাড়ায় এক প্রান্তে ঝড় তোলেন জেসন রয়। অন্য প্রান্তে দ্রুত ফিরেন মালান, জনি বেয়ারস্টো ও মইন আলি।
তিন ছক্কা ও দুই চারে ১৩ বলে ৩২ রান করা রয়কে থামান শাদাব খান। হারিস রউফের বলে ২ রানে মোহাম্মদ হাসনাইনকে ক্যাচ দিয়েও ছক্কা পেয়ে যান লিভিংস্টোন। তারপর থেকে এই অলরাউন্ডারের তাণ্ডব বয়ে গেছে সফরকারীদের উপর দিয়ে।
কিন্তু তাকে ঘিরে ইনিংস গড়ে তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড। এক ছক্কায় ১৬ রান করে ফিরেন মর্গ্যান। ১১ বলে কোনো বাউন্ডারি ছাড়া ১০ রান করেন লুইস গ্রেগরি। শেষের দিকে ১৬ রানের ইনিংস ব্যবধান কিছুটা কমান ডেভিড উইলি।
দারুণ বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন পেসার হাসনাইন। ৩ উইকেট নেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। খরুচে বোলিংয়ে তিন উইকেট নেন লেগ স্পিানার শাদাব খান।
আগামী রোববার লিডসে হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান : ২০ ওভারে ২৩২/৬ (রিজওয়ান ৬৩, বাবর ৮৫, মাকসুদ ১৯, ফখর ২৬, হাফিজ ২৪, আজম ৫*, ইমাদ ৩; উইলি ৪-০-৩৯-১, মাহমুদ ৪-০-৪৬-১, কারান ৪-০-৪৭-২, গ্রেগরি ২-০-২৫-১, পার্কিনসন ৪-০-৪৭-০, লিভিংস্টোন ২-০-২৪-০)।
ইংল্যান্ড : ১৯.১ ওভারে ২০১ (রয় ৩২, মালান ১, বেয়ারস্টো ১১, মইন ১, লিভিংস্টোন ১০৩, মর্গ্যান ১৬, গ্রেগরি ১০, উইলি ১৬, কারান ১, মাহমুদ ০*, পার্কিনসন ০; ইমাদ ৪-০-৪৬-১, আফ্রিদি ৩.২-০-৩০-৩, হাসনাইন ৪-০-২৮-১, রউফ ৪-০-৪৪-১, শাদাব ৪-০-৫২-৩)।
ফল : পাকিস্তান ৩১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : শাহিন শাহ আফ্রিদি।
সিরিজ : ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে পাকিস্তান।