Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ঈদের ছুটির আগেই খুলনায় ঈদযাত্রীদের ঢল : বাড়ছে সংক্রমণ ঝুঁকি

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০২১, ৭:০৪ পিএম

সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৬ টা। খুলনা রেলওয়ে ষ্টেশনে এসে পৌঁছায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন আন্ত:নগর ট্রেন সুন্দরবন এক্সপ্রেস। মূহুর্তের মধ্যে প্লাটফর্ম পূর্ণ হয়ে যায় কানায় কানায় যাত্রীতে। পরিবার পরিজন কেউ ফিরছেন ঢাকা থেকে। আবার কেউ কেউ টাঙ্গাইল, জয়দেবপুর, চুয়াডাঙ্গা ঈশ্বরদী, ঝিনাইদহ, যশোর থেকে ফিরছেন। ট্রেনটি কমপক্ষে ২২ টি ষ্টেশন থেকে যাত্রী এনেছে। সকালে খুলনা ষ্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্ত:নগর ট্রেনগুলোরও একই চিত্র ছিল। মানুষ ছুটছেন খুলনা থেকে বিভিন্ন জেলায়, আবার বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ ফিরছেন খুলনায়।

ঈদের ছুটি এখনো শুরু হয়নি। ঈদের আগেই করোনা ভয়কে উপেক্ষা করে করোনার হটস্পট খুলনায় মানুষ ফিরছেন। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার এবং আজ শুক্রবার যেন ষ্টেশনে মানুষের ঢল নামে। দেখা গেছে বেশীরভাগ যাত্রী মাস্ক ব্যবহার করলেও সামাজিক দূরত্ব খুব একটা মানা হচ্ছে না। বেশ কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেছেন, আসার পথে টিকিট ছাড়াই অসংখ্য যাত্রী তোলা হয়েছে। ট্রেনের এক শ্রেনীর অসাধু কর্মচারী ও দায়িত্বরত রেলপুলিশের সহায়তায় তারা ট্রেনে ওঠে।

জয়দেবপুর থেকে ওঠা যাত্রী একটি বেসরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা আসিফুর রহমান জানান, তিনি দেখেছেন টিকিট ছাড়াই বেশ কয়েকজন যাত্রী ঈশ্বরদী ও পোড়াদহে উঠানো হয়েছে। তারা বগির ভিতরে থাকা খালি সিটগুলোতে বসে পড়েন। এ নিয়ে একজন যাত্রীর সাথেও তার বিতন্ডা হয়েছে।
রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে পাসপোর্ট অধিদফতরে চাকুরীরত এক যাত্রী পরিবার নিয়ে ঈদ করতে খুলনা এসেছেন। তিনি জানালেন, অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করে তিনি খুলনা এসেছেন। রাজধানীর পুরোন পল্টনের একজন ব্যবসায়ী জাহিদুর রহমান পরিবার নিয়ে ঈদ করতে খুলনা এসেছেন।

একটি পার্লারের কর্মী সুজাতা তার স্বামীর সাথে প্রথমবারের মত ঈদ করতে শ্বশুরবাড়ি খুলনা এসেছেন। রাজধানীর পিকআপ চালক মো. আউয়াল ফিরেছেন পরিবারের সাথে ঈদ করবেন বলে।

এভাবেই ঈদের আগেই করোনা ভয়কে উপেক্ষা করে করোনার হটস্পট খুলনায় মানুষ ফিরছেন। এতো মানুষ খুলনায় আসা এবং ঈদের পরে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি নগরবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। শংকা প্রকাশ করছেন খুলনার সচেতন মহলও। কারণ প্রতিদিন খুলনায় আক্রান্তের শতকরা হার ৩০ থেকে ৪০ এ উঠানামা করছে। মৃত্যু হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ জনের। হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকটে রোগীরা ভর্তি হতে পারছেন না।

খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ আজ সন্ধ্যায় দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ব্যাপকভাবে মানুষের স্থানান্তর অবশ্যই সংক্রামক ব্যাধির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সেক্ষেত্রে খুলনায় ঝুঁকি তৈরী হচ্ছে। প্রত্যেকের উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সতর্ক থাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ